ফাইল চিত্র।
এ যেন উলট পুরাণ।
তৃণমূল নেতার কাছ থেকে নেওয়া জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী উপভোক্তাদের হাতে ফেরালেন বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সভাপতি সুভাশিস মহাপাত্র। মঙ্গলবার নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের খালিনার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের খালিনা বুথে আবাস যোজনার ২৪ জন উপভোক্তার কেউই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি বলেই অভিযোগ। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই উপভোক্তাদের নাম পাঠানো হয়েছিল। তখন ওই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন সুশান্ত ধল (এ বার তিনি ভোটে দাঁড়াননি)। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর উপভোক্তাদের একাংশ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা চেয়ে তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান। উপভোক্তাদের দাবি ছিল পঞ্চায়েত সদস্যের গাফিলতিতেই তাঁরা টাকা পাননি। তাই বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ওই পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে জরিমানা ধার্য করা হয়।
উপভোক্তাদের দাবি, বেলদা থানায় বসে সিদ্ধান্ত হয় উপভোক্তা পিছু ৫ হাজার করে মোট ২৯ জনকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দেবেন সুশান্ত। সেই টাকা দিয়ে আবাস যোজনার অসম্পূর্ণ বাড়িগুলি শেষ করা হবে। সেই টাকা বিলির দায়িত্ব পান বিজেপির তপন প্রধান। গত ১৬ জুন তিনি অনুপস্থিত থাকলে সেই টাকা জমা পড়ে বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সভাপতি সুভাশিস মহাপাত্রের কাছে। তখন সিদ্ধান্ত হয় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকলে তারপর উপভোক্তাদের জরিমানার টাকা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ইতিমধ্যেই ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও উপভোক্তারা সেই টাকা পাননি।
গত ৩০ জুলাই সেই জরিমানার টাকা ফেরতের দাবিতে পোস্টার পড়ে। এরপর এ দিন সেই টাকা ফেরত দিলেন সুভাশিস। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা টাকাটা আত্মসাৎ করার জন্য নিইনি। মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যেই নিয়েছিলাম। এ দিন ৭ জনের হাতে টাকা তুলে দিলাম। বাকি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তপন প্রধান-সহ দলের অন্য নেতাদের হাতে দিয়েছি।’’
তবে উপভোক্তাদের ক্ষোভ অবশ্য এতে থামছে না। কারণ উপভোক্তাদের বাড়ি শেষ করে দেওয়ার দায়িত্ব যিনি নিয়েছিলেন সেই বিজেপি নেতা তপন প্রধান এ দিন অবশ্য বলেন, ‘‘এ দিন জরিমানার কিছু টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকাও দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির দায়িত্ব তো আমাদের নয়।’’
নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিহির চন্দের প্রশ্ন, মানুষের চাপে পড়েই টাকা ফেরানো হয়েছে। কিন্তু গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির দায়িত্ব নেবে কে? এই কথা শুনে ক্ষুব্ধ উপভোক্তাদের একাংশের দাবি, বাড়ির কাজ যাঁরা শেষ করে দেবেন বলেছিলেন তাঁদেরই করতে হবে। বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সেই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের সুশান্ত ধলের দাবি, ‘‘আমি কারও থেকে কোনও কাটমানি নিইনি। বাড়ি তৈরির শেষ কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢোকার জন্যই বাড়িগুলো শেষ করা যায়নি। আমার থেকে জরিমানার নামে জোর করে টাকা আদায় করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy