মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।
মুখ ফস্কে বিপত্তি। কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রশংসা! সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ যা বললেন তাতে বিব্রত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কারণ, সমালোচনা করতে গিয়ে সোমবার খড়্গপুরে দিলীপ মীনাক্ষীকে চন্দ্রযান ৩ এর সঙ্গে তুলনা করে বসেন।
এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপকে মীনাক্ষী সম্পর্কে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিপিএম এখন বহুদিন ধরে নেতা খুঁজছে। এর আগে দু’জনকে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছিল। একজন কানাইয়া কুমার। লোকসভা লড়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হল। আরেকজন ঐশী ঘোষ। বিধানসভা লড়লেন তিনিও হারলেন। তাঁর নাম কেউ নেয় না এখন। চন্দ্রযান-১, চন্দ্রযান-২ ধ্বসে গিয়েছে। এখন চন্দ্রযান-৩ এসেছে। যারা সিপিএমের পুরনো মুখ তাঁদের দিকে কেউ এখন তাকাতেই চায় না। তাই নতুন চন্দ্রযান আনা হচ্ছে। দলটাই নেই তার আবার নেতা কী!” চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য বড়াই করে প্রচার করছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আন্তর্জাতিক স্তরেও চন্দ্রযান ৩ স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটেও যে চন্দ্রযান ৩ প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে তা স্পষ্ট বিজেপি নেতাদের কথাতেই। এই পরিস্থিতিতে মীনাক্ষীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে যে ভাবে তাঁকে চন্দ্রযান ৩ এর সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ তাতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়বে বলেই ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
মীনাক্ষী দাবি করেছিলেন বড় মাঠে লড়াই হবে। তারই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চন্দ্রযান ৩ প্রসঙ্গের অবতারনা করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, দিলীপ যে কোনও প্রসঙ্গেই স্বতস্ফূর্ত ভাবে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। ভেবে বলা তাঁর ধাতে নেই। তাই মীনাক্ষী সম্পর্কে মন্তব্যের যে উল্টো অর্থ হচ্ছে বলার সময় হয়তো তা খেয়ালই ছিল না দিলীপের। তবে গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, দিলীপ শিবিরের অনুযোগ তাদের অপ্রাসঙ্গিক করে রাখা হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট কেন গুরুত্ব পাচ্ছেন না পুরনো নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy