সভায় তৃণমূলের প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুয়ায়ী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করতে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রশাসনের তরফে সভার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে সেই প্রশাসনিক সভায় তৃণমূলের দলীয় প্রতীকের প্ল্যাকার্ড এবং পঞ্চায়েতের গরহাজিরা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তমলুকের একটি গ্রামে।
তমলুক ব্লকে বৃহস্পতিবার বিজেপি পরিচালিত উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েতে একটি প্রশাসনিক ‘গ্রাম সভার’ আয়োজন করা হয়। সভা হয়েছে বিষ্ণুবাড়-১ ও ২, পিপুলবেড়িয়া- ১, নীলকুন্ঠ্যা, পদুমপুর-২ পঞ্চায়েতেও। উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েতে নিমতৌড়ি দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে আয়োজিত ওই সভায় তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝর্ণা হাইত বর্মণ, পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা শেখ জাকিরেরা হাজির ছিলেন। তবে অনুপস্থিত ছিলেন খোদ পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান। সভায় উপস্থিত শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। আর তাঁদের অনেকের হাতে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রতীক-সহ বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো প্ল্যাকার্ডে। দু’টি বিষয় নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশাসনের ডাকা রাজনৈতিক দলের প্রতীক-সহ প্ল্যাকার্ড থাকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানেরা হাজার না থাকায় সরব তৃণমূলও।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি তথা তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের টাকা দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার প্রশাসনকে লাগিয়েই দলের প্রচার করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুভেচ্ছাপত্র দিয়েছেন সেখানে ‘তৃণমূল সরকার’ বলে উল্লেখ করেছেন। সরকারি ভাবে ডাকা গ্রামসভায় কীভাবে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড দেখানো হয়!’’ অন্যদিকে, বিজেপির তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে সভায় উপস্থিত থাকা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘দলমত নির্বিশেষে সভায় শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কারও আমাদের দলীয় প্রতীক দেওয়া প্ল্যাকার্ড নজরে আসেনি। সভায় দলীয় প্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ পাশাপাশি, সৌমেনের প্রশ্ন, ‘‘ব্লক প্রশাসন থেকে সভা ডাকা হয়েছিল। সভায় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানরা কেন ছিলেন না? সেটা তাঁরাই বলুন।’’
দলের সমর্থকদের জমায়েত করে রাজনৈতিক প্রচার করা হচ্ছে বলেই ওই সভায় প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধান যাননি বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা আশিস মণ্ডল। আর উত্তর সোনামুই পঞ্চায়েতের প্রধান পূর্ণেন্দু পাল বলছেন, ‘‘আমাদের দলের নির্দেশ ছিল গ্রাম সভায় না যাওয়ার জন্য। তাই সভায় উপস্থিত ছিলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy