Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ভেন্টিলেশন তৈরি করেই প্রাণ রক্ষা   

এই স্বাস্থ্য-সঙ্কটের মধ্যেই শনিবার এক অন্য ছবি দেখা গেল শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ‘ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন’ তৈরি করে বিষাক্ত সাপের ছোবল খাওয়া এক যুবকের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকেরা।

চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শালবনি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০১:৩৬
Share: Save:

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। সিনিয়র ডাক্তাররা ইস্তফা দিচ্ছেন। পরিষেবা না পেয়ে হাহাকার করছেন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা।

এই স্বাস্থ্য-সঙ্কটের মধ্যেই শনিবার এক অন্য ছবি দেখা গেল শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। ‘ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন’ তৈরি করে বিষাক্ত সাপের ছোবল খাওয়া এক যুবকের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকেরা। পরে বোতেরাম টুডু নামে বছর তিরিশের ওই যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যালের সিসিইউ-তে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাঁকে দেখে গিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। তিনি মানছেন, ‘‘শালবনির চিকিৎসকেরা ভাল কাজ করেছেন।’’ আগেও ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন তৈরি করে একাধিক রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন শালবনি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এমন রোগীর তালিকায় এক একরত্তিও রয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বোতেরামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শালবনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিজনেরা। তাঁর বাড়ি শালবনির বাগলাডোবায়। যুবকের শারীরিক অবস্থা দেখে প্রমাদ গনেন চিকিৎসকেরা। এ তো জীবন-মৃত্যুর টানাটানি! ভেন্টিলেশন ছাড়া বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হলেও শালবনিতে ভেন্টিলেশন নেই, নেই পোর্টেবল ভেন্টিলেটর। কাছাকাছি ভেন্টিলেশনের সুবিধে রয়েছে বলতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কিন্তু শালবনি থেকে মেদিনীপুর নিয়ে যেতে তো রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে!

পরিস্থিতি দেখে ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন তৈরির তোড়জোড় শুরু করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে কার্ডিয়াক মনিটর, ল্যারিঙ্গোস্কোপ ছিল। নিয়ে আসা হয় এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউব (ইটি টিউব)। এই টিউব পরিয়ে রোগীকে ভেন্টিলেশন দেওয়া শুরু হয়। অ্যাম্বুব্যাগের সাহায্যে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ম্যানুয়াল ভেন্টিলেশন চলার পরে ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দেন বোতেরাম। অবস্থা খানিক স্থিতিশীল হতে দুপুরে তাঁকে মেদিনীপুরে স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচেছে বোতেরামের। খুশি পরিজনেরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘ডাক্তারবাবুরা ছিলেন বলেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে বোতেরাম।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy