প্রতীকী ছবি
লকডাউনের পর ‘আনলক’ পর্বে অনেকটাই বদল আনা হচ্ছে শিল্পশহরের মল-সংস্কৃতির চেহারায়। লকডাইন উঠে গেলেও করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ থাকছে থিয়েটার, হ্যাংআউট জ়োন, ছোটদের খেলার জায়গাও। মাস্ক তো বাধ্যতামুলক ছিলই, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহারও। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে জানানো হয়েছে, ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ স্মার্টফোনে না থাকলে কাউকেই মলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
শহরের একটি রিটেল-শপ্ কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে ২০ জনের বেশি দোকানে না ঢোকা নিশ্চিত করার নির্দেশ জারি করেছে। হলদিয়ার একটি শপিং মলের ম্যানেজার পার্থদেব দাসের কথায়, ‘‘মলের মধ্যেই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কোনও আক্রান্তের খোঁজ মিললে, তাঁকে দ্রুত মলের ভিতরেই তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি হাউস-কিপিং স্ট্যান্ডও থাকবে মলের শৌচালয়ে।’’
পরিস্থিতি যা, তাতে মলে আড্ডা দেওয়ার কোনও পরিবেশ আর রইল না— এমনটাই মত সকলের। পাশাপাশি ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মলে প্রবেশে লাগাম টানা হচ্ছে। হলদিয়ার বাসিন্দা শেক বাচ্চু বলেন, ‘‘মলে আড্ডা দেওয়ার পরিবেশ আর থাকায় মন খারাপ হবে। তবে নিয়মটা আগে।’’
অন্য দিকে, শপিং মলের লিফটেও নিশ্চিত করা হবে সামাজিক দূরত্ববিধি— এমনই জানিয়েছেন মল কর্তৃপক্ষ। হলদিয়ার বাসিন্দা সৌমিত্র ঘোষের কথায়, ‘‘বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে। তাই এই সময় মলের দিকে পা না বাড়ানোই ভাল। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে এই সময় সবাইকেই নিয়ম মেনে চলতে হবে।’’ বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে মলে আদৌ ভিড় হবে কি? কপালে ভাঁজ পড়েছে বিভিন্ন মল মালিক কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy