প্রতীকী ছবি।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার খুনের ঘটনায় আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে তপতী দাস নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার মল্লিকা দাস এবং হলদিয়ার ব্রজগোপাল সেনিকে রবিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, তমলুক থানার অন্তর্গত কাঁকটিয়ার বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মৃগাঙ্ক মণ্ডলের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি মহিষাদল থানার গেঁওখালি থেকে। মৃত্যুর কিনারায় তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে গেঁওখালি-মহিষাদল সড়কে একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর মল্লিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃগাঙ্কর। পরবর্তীকালে মৃগাঙ্ক বিয়ে করতে না রাজি হওয়ায় নিজের পুরনো প্রেমিক ব্রজগোপালের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মৃগাঙ্ককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মল্লিকা। ঘটনার দিন খুনের পর মল্লিকা ফিরে আসেন মেচেদায়। ব্রজগোপাল হলদিয়ার টাউনশিপে তপতীর বাড়ি চলে যায়। তদন্তে জানা গিয়েছে, মল্লিকার পাশাপাশি তপতীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল ব্রজগোপালের। মৃগাঙ্ককে খুন করার ব্যাপারে মল্লিকা ও ব্রজগোপালের সমস্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল তপতী। ব্রজগোপাল ঘটনার দিন থেকে তপতীর বাড়িতেই লুকিয়েঠছিল। পরে পুলিশ তপতীর ভাড়া বাড়ি হলদিয়া টাউনশিপের জীবনানন্দ দাশ নগর থেকে ব্রজগোপালকে পাকড়াও করে। তপতীকেও আটক করা হয়। জেরায় তপতীর বক্তব্য অসঙ্গতি লক্ষ্য করে পুলিশ। সোমবার সকালে খুনে জড়িত অভিযোগে তপতীকেও গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। তপতীর জীবনানন্দ দাশ নগরের ভাড়া বাড়ি পুলিশ সিল করে দিয়েছে। এ দিন তপতীকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy