Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
tmc

হামলার নালিশ, ধৃত বিজেপি-র দুই নেতা

তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রাজেশ মণ্ডল ও শ্যামল দাস। রাজেশ বিজেপি-র জেলা সম্পাদক। শ্যামল বিজেপি-র শিলদা মণ্ডলের সহ-সভাপতি। 

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা  
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০০:০৫
Share: Save:

বিজেপি-তৃণমূল মারামারির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল বিনপুরের হাড়দা গ্রামে। তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রাজেশ মণ্ডল ও শ্যামল দাস। রাজেশ বিজেপি-র জেলা সম্পাদক। শ্যামল বিজেপি-র শিলদা মণ্ডলের সহ-সভাপতি।
রাজেশের বাড়ি হাড়দা গ্রামে। শ্যামল থাকেন বাতাবনি গ্রামে। রাজেশের স্ত্রী ঝুমা মণ্ডল হলেন হাড়দা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান। হাড়দা পঞ্চায়েতে ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন বিজেপি-র। বাকি দুই সদস্য বিজেপি সমর্থিত আদিবাসী মঞ্চের।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জুলাই। ওই দিন স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের হাড়দা অঞ্চল সভাপতি সিন্টু সাহার অভিযোগ, বিজেপি নেতা রাজেশের নেতৃত্বে গেরুয়া শিবিরের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কর্মী লখীন্দর দিগনায়েকের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, লখীন্দরের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন লখীন্দরের স্ত্রী পূর্ণিমাও। লখীন্দরকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিনপুর থানায় রাজেশ-সহ বিজেপি-র ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ণিমা। অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে রাজেশ ও শ্যামলকে হাজির করা হয়। জামিনের আর্জি নাকচ করে দু’জনকে সাতদিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।
বিজেপি-র পাল্টা দাবি, তাদের দলীয় কর্মী নয়ন ভুই বৃহস্পতিবার রাতে মোটরবাইকে হাড়দার দলীয় কার্যালয় থেকে নিজের গ্রাম কিশোরীপুরে ফিরছিলেন। সেই সময় হাড়দা স্কুল মোড়ে নয়নের উপরে তৃণমূলই হামলা চালায়। তার পরেই গোলমাল শুরু হয়। নয়ন ঝাড়গ্রামের একটি নার্সিহোমে চিকিৎসাধীন। রাজেশের স্ত্রী ঝুমাও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিন্টু (সিন্টুর বাড়িও হাড়দাতে) সহ ২০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় পা‌ল্টা অভিযোগ করেছেন। তবে ওই অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হননি। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তপন সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হলেন। অথচ সেই অভিযোগকে থানা গুরুত্বই দিল না। উল্টে রাতে রাজেশ ও শ্যামলকে তুলে এনে তৃণমূলের সাজানো অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ঘোষণা করা হতেই সন্ত্রাস শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলছেন, ‘‘হাড়দায় বিজেপি-র হামলায় আমাদের এক কর্মী মারাত্মক জখম। দায় এড়াতে বিজেপি তাদের এক কর্মী জখম হওয়ার গল্প সাজাচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Binpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy