প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও কৃতিত্ব নেই বলে দাবি করলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। এ প্রসঙ্গে নাম না করে সদ্য বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে ‘হরিদাস পাল’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
তৃণমূলের মহিলা সংগঠন বঙ্গজননী বাহিনীর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার তমলুক শহরে এসেছিলেন বাহিনীর সভানেত্রী কাকলি। পদুমবসানের সভাগৃহে বৈঠকটি হয়।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, অধিকারী পরিবার সঙ্গে না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিততে পারতেন না। এ দিন কাকলি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করে, সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে হার্মাদমুক্ত করেছেন। এতে আমারও কোনও কৃতিত্ব নেই, হরিদাস পালেরও কোনও কৃতিত্ব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ, তিতিক্ষা বাংলার মানুষ দেখেছে। অত্যাচারিত বাংলার মানুষ তাঁর পাশে থেকে তাঁকে এই লড়াইটা করতে সাহায্য করেছেন।’’
নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে যেদিন গুলি চলেছিল, তাঁর পরদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। প্রথমে নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারেনি। কারণ, কোলাঘাটে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে আটকে গালাগালি দিচ্ছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের হার্মাদ বাহিনী। আমার গাড়িটা ঠিক তাঁর আগে ছিল। ওই সময় নন্দীগ্রামে ক্যাম্প করে চিকিৎসা করেছিলাম। টানা ৭-৮ দিন জননী ইটভাটার রাস্তায় বসে মানুষের চিকিৎসা করেছি। গুলি বার করেছি। অপারেশন করেছি।’’ ২১ বছর ধরে তৃণমূল করাটা লজ্জার— শুভেন্দুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘‘যে শিশুকে মা বড় করে। সেই শিশু বড় হয়ে মায়ের মুখে লাথি মারে। একজন মা হয়ে তাঁর জবাব আমি দেব না।’’ এ দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বঙ্গজননী বাহিনীর সভায় কাকলি সংগঠনের সব পদাধিকারী ও সদস্যদের বর্তমান রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন এবং উন্নয়ন কাজ করেছেন, তা মানুষের কাছে প্রচারে করতে বলেন। কাকলি বলেন, ‘‘বঙ্গজননী বাহিনীর সভা রাজ্যের ১৮টি জেলায় কয়েকমাস আগেই হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই বাহিনীর সভা দেরিতে হল। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার মহিলা এই বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।’’ সভায় ছিলেন বঙ্গজননীর জেলা সভানেত্রী শিখা মাইতি, পাঁশকুড়া পুরসভার কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূলের সভাপতি সুমনা মহাপাত্র প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy