—প্রতীকী ছবি
কলেজ গেটে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপির সংঘর্ষে সোমবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বাজকুল কলেজ চত্বর। সংঘর্ষের সময় ব্যাপক বোমাবাজি ও ছাত্রদের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সোমবার সকালে বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ে এমন গোলমালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অভিযোগ, ঘটনার পরে তৃণমূল কর্মীরা বাজকুলে বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুড়ে যাওয়া দুটি বাইক পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় দু’পক্ষের সাতজন জখম হয়েছে।
গোলমালের পর দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এগরা-বাজকুল ও দিঘা-মেচেদা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি নারী নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) মহামিছিলির ডাক দিয়েছে। ভগবানপুর-১ ব্লকের বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন সেখানে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। সোমবার এবিভিপি এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা কলেজ গেটে এবিভিপির পতাকা লাগাতে যান। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাঁদের বাধা দিলে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কলেজের গেটের সামনে লাগানো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা ছেঁড়ার দেওয়ার অভিযোগ উঠে এবিভিপি বিরুদ্ধে। সংঘর্ষ চলাকালীন কলেজ গেট লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাইকে এবিভিপির সমর্থকেরা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বোমাবাজি ও অগ্নিকাণ্ডের জেরে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। ব্যবসায়ীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দোকান বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দমকল আসার আগে আগুনে দু’টি বাইকই ভস্মীভূত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার বাইকে করে কলেজে মার্কশিট নিতে এসেছিলেন চণ্ডীপুর থানার দিহিপুরুলিয়া গ্রামের সৌরভ মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহপাঠী। সংঘর্ষের সময় কলেজ গেটের সামনে রাখা সৌরভের বাইক ও আরও একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ঘটনার পরে তৃণমূল কর্মীরা বাজকুলে বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। সৌরভের বাবা তপন মণ্ডল বলেন, ‘‘ছেলে আমার বাইক নিয়ে কলেজে গিয়েছিল মার্কশিট নিতে। সংঘর্ষের সময় ছেলের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ওর কিছু হয়নি এটাই রক্ষে।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি শতদল বেরা বলেন, ‘‘এবিভিপি সমর্থকেরা জোর করে কলেজের ছাত্রসংসদ দখলের চেষ্টা করছে। সে জন্যই তারা হামলা করে। আমাদের কর্মীরা বাধা দিলে ওরা বোমাবাজি করে কয়েক জন ছাত্রের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবিভিপি এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে।’’
এবিভিপি-র জেলা প্রমুখ সুদীপ মণ্ডলের দাবি, ‘‘মহামিছিলের সমর্থনে কর্মীরা পতাকা লাগাতে গিয়েছিলেন। তখন হামলা ও বোমাবাজি করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাই। আমাদের দুটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy