প্রতিবেশীরা বলেন, শ্বসুরবাড়ির হাল ফেরে আনসারের জন্যই। নিজস্ব চিত্র।
দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় নাম জড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা আনসার সেখের! কে এই আনসার, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল বিভিন্ন তথ্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনসার সেখ আদতে বিহারের বাসিন্দা। তবে বৈবাহিক সূত্রে তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা ছিল হলদিয়া ব্লকের কুমারপুর গ্রাম। তবে দানধ্যানের অভ্যাসের কারণে খুব অল্প সময়েই এলাকাবাসীর কাছে খুব চেনামুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এ হেন আনসারের নাম দিল্লিতে পাথর ছোড়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় রীতিমতো হতবাক কুমারপুর গ্রাম।
কুমারপুর গ্রামে আনসারের শ্বশুরবাড়িটি দোতলা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়ির বাসিন্দারা অধিকাংশ সময়ই দিল্লিতে থাকেন। তাই বাড়ি-সহ মূল গেটে প্রায়শই তালা লাগানো থাকে। তবে প্রতি বছর রমজান মাসে আনসার তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে হলদিয়ায় এসে বিপুল পরিমাণ দানধ্যান করে সবার নজর কেড়ে নেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। কুমারপুর তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা হলেও এলাকার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম খান।
রফিকুল জানান, আনসারের মতো যুবক কোনও দিন এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন, তা স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেননি। প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ বার নিয়ম করে শ্বশুরবাড়িতে আসেন আনসার। ইদের সময় হলদিয়ায় এসে গরিবদের নানা উপহার দেন। তবে ওই এলাকায় তাঁর কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না বলেই দাবি করেছেন রফিকুল।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জেসমিন জানান, “আনসারের শ্বশুরবাড়ির লোক ভীষণ দরিদ্র। কাজের খোঁজে তাঁরা দিল্লি চলে যান। সেখানেই আনসারের সঙ্গে আলাপ ও বিয়ে হয় ওই বাড়ির মেয়ের। বছর দশেকের মধ্যে ধীরে ধীরে আনসারের হাত ধরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির চেহারায় বদল এসেছে।” জেসমিনের দাবি, “আনসারকে এলাকার সবাই চেনেন। তবে তিনি এই এলাকার ভোটার নন। তাঁর সুনাম রয়েছে দিল্লিতেও। যে এলাকায় ঝামেলা হয়েছে, সে খানে আনসারের প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সকলেই স্তম্ভিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy