প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফায়দা তুলে নিজেদের হারানো জমি ফের ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় শাসক শিবির। বুধবার পটাশপুরে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা সহ তিনশোরও বেশি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে যোগদান অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানে দেখা যায়নি।
রাজ্য রাজনীতিতে পালাবদলের পর পটাশপুর-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বিরোধী শূন্য গ্রামপঞ্চায়েতে একচ্ছ্ত্র শাসন ছিল তৃণমূলের। ২০১২ সাল থেকে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায় শাসক শিবির। একদিকে বর্তমান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি প্রভুরাম দাস। অপরদিকে মোহন মণ্ডল শিবির। পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল থেকে ২০১৫ সালে দল বদলে বিজেপিতে চলে যান মোহন মণ্ডলের অনুগামীরা। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মোহন মণ্ডল ও মোহন শী, অজয় মান্নার নেতৃত্বে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংগঠন মজবুত করে। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে এলাকার মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এই এলাকায় ভোটে এগিয়ে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপির দাপটে টানা কয়েক মাস ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকী বিজেপির চাপে বেশ কয়েক মাস তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত খোলা যায়নি। পরে অফিস খুললেও পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান সহ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের দীর্ঘদিন সেদিক মাড়াতে দেখা যায়নি। অভিযোগ, বিজেপির চাপে তৃণমূলের প্রধান নিজেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধান পদ থেকে ছুটি নেন। উপপ্রধান তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অফিসে এলে তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি পদ নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে গত বছর। বিজেপির জেলা প্রাক্তন কৃষক মোর্চার সভাপতি মোহনলাল শী গোষ্ঠী বনাম বর্তমান মণ্ডল সভাপতি বনমালী পাত্রর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তার প্রেক্ষিতেই মোহন মণ্ডল, অজয় মান্নার নেতৃত্বে ফের পুরনো দলে ফিরলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।এ দিন গোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন ব্লক সভাপতি তাপস মাজি। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা পীযূষ পন্ডা, প্রভুরাম দাস প্রমুখ।
যদিও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘তৃণমূল টাকা ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দু’এক জন বিজেপি কর্মীকে দলবদল করিয়েছে। বাকিরা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। তারা কখনও বিজেপিতে আসেনি। মুখ বাঁচাতে তৃণমূল নাটক সাজিয়েছে। আমাদের দলে কোন্দলের কোনও জায়গা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy