ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যের আট জন আইপিএস অফিসারকে পুলিশ পদক দিক, এটাই চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদক-তালিকায় এ রাজ্যের মাত্র এক জন আইপিএস অফিসারের নাম রয়েছে। পুলিশ পদকের তালিকায় এ বার নবান্নের পাঠানো তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সাত আইপিএস। তবে সারদা-রোজ ভ্যালি কাণ্ডে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজকুমার শ্রীবাস্তবকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে এ বার সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ পুলিশ পদক পেয়েছেন তিন জন। সাহসিকতার জন্য পুলিশ পদক পেয়েছেন ১৭৭ জন পুলিশকর্মী। কর্মজীবনে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ পদক পাচ্ছেন ৮৯ জন, পুলিশ পদক পাচ্ছেন ৬৭৭ জন। পুলিশ পদকের তালিকায় বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকর্মী ছাড়াও আধাসেনা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্মী-অফিসারেরা থাকেন।
নবান্নের খবর, এ বার আইপিএস অফিসারদের মধ্যে শশীকান্ত পূজারি, তমাল বসু, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, নিশাত পারভেজ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কঙ্করপ্রসাদ বারুই, অজয় ঠাকুর এবং অনির্বাণ রায়ের নাম দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শশীকান্ত ছাড়া আরও কোনও আইপিএস অফিসার রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক পাননি। আইপিএস ছাড়া অন্য আরও ২০ জন অফিসারকে পুলিশ পদক দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলায় কর্মরত আরও এক জন আইপিএস অফিসারকে কর্মজীবনে কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ পদক দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের ওই আইপিএস পঙ্কজকুমার শ্রীবাস্তব এখন কলকাতার সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা হিসেবে কর্মরত। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তাঁর নেতৃত্বেই তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিবিআই।
পুলিশ পদকের ক্ষেত্রে বাংলার আইপিএসদের বঞ্চনা প্রথম নয়। গত প্রজাতন্ত্র ও স্বাধীনতা দিবসেও বাংলার কোনও আইপিএস অফিসার পুলিশ পদক পাননি। এ বার অবশ্য এক জন পুলিশকর্তার কপালে শিকে ছিঁড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy