ফাইল চিত্র।
সকালে বাতিল হয়ে গেল যে বৈঠক, সন্ধ্যায় সে সম্পর্কে কয়েকটি শব্দ বদলে জারি হল নতুন সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি। নতুন সেই বিজ্ঞপ্তিতে বাদ গেল শুধু ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি। বদলে যুক্ত হল ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। তবে দিল্লির সংশোধিত এই বিজ্ঞপ্তিতেও একটি বিষয় অপরিবর্তিত। তা হল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো। তাই নিয়ে রাজ্যের আপত্তি রয়েই গেল।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত’ বিষয়ে আলোচনা ডাকার পরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। রাজ্যের এক্তিয়ার থেকে গোর্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার— একাধিক কারণে রাজ্য প্রশ্ন তোলে। এর পরে সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতেই, বিকেলে ‘বাতিল’ শব্দটি বদলে যায় ‘স্থগিতে’। কিন্তু কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠক স্থগিত হল, তা বিশদে বলতে রাজি হয়নি মন্ত্রক সূত্র। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। বরং মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়।
এরও কিছু ক্ষণের মধ্যে আসে নতুন বিজ্ঞপ্তি। তার উপরে লেখা ছিল, ‘সংশোধনী’। সেই বিজ্ঞপ্তিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দের উল্লেখ ছিল না। তার বদলে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়। বৈঠকের স্থান, কাল, পাত্র সবই সেই বিজ্ঞপ্তিতে অপরিবর্তিত রাখা হয়। যার ফলে সরাসরি জেলাশাসককে বৈঠকে ডাকার বিতর্কটি রয়েই গেল। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য এর পরেও ৭ অক্টোবরের বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল। যেমন সংশয় রইল পাহাড়ের দলগুলি কী ভাবে বৈঠকে যোগ দেবে বা আদৌ দেবে কি না, তা নিয়েও।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার সর্বভারতীয় স্বীকৃতি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
এর বড় কারণ, বৈঠক হচ্ছে ধরে নিয়ে বিমল গুরুংয়ের জন্য সমর্থন জোগাড়ে ময়দানে নেমেছেন রোশন গিরি। তিনি এ দিন বিভিন্ন দলকে চিঠি পাঠান। সেই চিঠির মর্মার্থ হল— আমাদের ছাতার তলায় এসে আপনারা বৈঠকে যোগ দিন। পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল বলছে, ঘুরিয়ে সকলকে বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। দিল্লি যে এই বৈঠক ডেকে ভোটের আগে পাহাড়ে বিমলকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছে, সেই কথাও বলছেন অনেক নেতা। যদিও মন ঘিসিং বা বিজেপির টিকিটে দার্জিলিং থেকে জিতে আসা নীরজ জিম্বারা এই নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে কালিম্পঙের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জাপের সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার, বিমল গুরুংকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আসলে ভোট আসছে। পাহাড়ের খেলা শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: নারদ-তদন্ত শেষ, অনুমতি না থাকায় পেশ হচ্ছে না চার্জশিট
পাহাড়ে গুরুং-বিরোধীদের একাংশ বলছে, ‘‘নেহাত বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রয়েছে। না-হলে একাধিক দলের মঞ্চ বানিয়ে তার মাথায় গুরুংকে বসিয়ে দেওয়া হত এত ক্ষণে।’’ বিনয় তামাং, অনীত থাপারাও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। দলের মুখপাত্র কেশবরাজ পোখরেল শুধু ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দল হলেও তাঁরা চিঠি পাননি। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, পাহাড়ে কাদের জন্য কী করার চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy