সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস) কি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে? মঙ্গলবার রাজভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
মঙ্গলবার নিউ টাউনের কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী বিজিবিএস। ঘটনাচক্রে, একই দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিজের কার্যকালের এক বছর পূর্ণ করলেন বোস। সেই উপলক্ষে দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিজিবিএসে তিনি যোগ দেবেন কি না। আনন্দ বোস সংক্ষিপ্ত জবাবে বলেন, ‘‘আমি মানসিক ভাবে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করব।’’ পাশাপাশিই তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার জন্য মঙ্গলজনক যে কোনও কাজে আমার অংশগ্রহণ থাকবে।’’
রাজ্যপালের এ হেন মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, রাজ্যপালকে কি সরকারের তরফে বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? গত বছর ২১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বোস। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই প্রথম রাজ্যে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসছে। অনেকে বলছেন, রাজভবন প্রত্যাশা করেছিল, নবান্ন থেকে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ রাজভবনে আসবে। সেই আমন্ত্রণ আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই ওই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি ‘মানসিক ভাবে’ ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
তবে রাজভবনের একটি সূত্রের বক্তব্য, রাজ্য সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছে, অথচ রাজ্যপাল সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেছেন, এমন ঘটনা গত এক বছরে ঘটেনি। তাই বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলে অবশ্যই উপস্থিত হতেন বোস। রাজভবন সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে তা না হওয়ায় খানিকটা ‘মনঃক্ষুণ্ণ’ হয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং তাঁর মধ্যে আবার নতুন করে কোনও বিরোধ তৈরি হোক, তা-ও চান না তিনি। তাই বাণিজ্য সম্মেলনে নিজের ‘মানসিক’ উপস্থিতির কথা বলেই ওই সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘কৌশলী’ জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যপালকে কখনওই এই ধরনের বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এর আগেও এমন কোনও নজির নেই।
মঙ্গলবার রাজভবনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, গত এক বছরে নিজের সাংবিধানিক সতীর্থের (মুখ্যমন্ত্রী) বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি বা লেখেননি তিনি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই মিটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাই বাণিজ্য সম্মেলনের আমন্ত্রণ নিয়ে নবান্নের সঙ্গে কোনও সংঘাত চাইছেন না রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy