—ফাইল চিত্র।
নজরুল মঞ্চে বুধবার পার্শ্ব শিক্ষকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে যে-সব দাবিদাওয়া নিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকেরা সল্টলেকে বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে অনশন-বিক্ষোভে বসেছেন, তার সমাধানসূত্র বিশ বাঁও জলে চলে গেল।
আলোচনা বাতিল হওয়ায় দু’পক্ষই পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, অধিকাংশ পার্শ্ব শিক্ষকই নজরুল মঞ্চে গিয়ে আলোচনায় বসতে উৎসাহী হননি। তাই শেষ পর্যন্ত বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। অন্য দিকে, আলোচনা বাতিল হয়ে যাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ।
ওই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা আলোচনায় আগ্রহী ছিলাম। বৈঠকে বসার জন্য আমরা যখন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বারবার আবেদন করছিলাম, উনি সাড়া দেননি। অগত্যা আমরা বিক্ষোভ-অবস্থানের দিন ঘোষণা করলাম। তার পরে উনি আলোচনায় ডাকলেন।’’ ভগীরথবাবুর অভিযোগ, আসলে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ ভেস্তে দেওয়ার জন্যই নজরুল মঞ্চে আলোচনায় ডাকা হয়েছে। ‘‘বেতন-কাঠামো ঠিক করা বা বেতন বৃদ্ধির সদিচ্ছা নেই সরকারের। সদিচ্ছা থাকলে তো সরকার বেতন বৃদ্ধি ও বেতন-কাঠামোর বিজ্ঞপ্তি দিলেই পারে। নজরুল মঞ্চে ডাকার কী আছে,’’ প্রশ্ন ওই শিক্ষক-নেতার।
আরও পড়ুন: স্ট্যাম্প নয়, রিপোর্টে চাই ডাক্তারের সই
তবে পার্শ্ব শিক্ষকদের অন্য সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির বক্তব্য, বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি না-মিললেও আলোচনায় বসলে হয়তো অন্য বেশ কিছু দাবিদাওয়ার সুরাহা হত। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রমিউল ইসলাম শেখের প্রশ্ন, যে-সব রাজনৈতিক দল
অনশনমঞ্চে গিয়ে সহানুভূতি দেখাচ্ছে, পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য তারা কী করেছে? বিজেপি-শাসিত ঝাড়খণ্ডের পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন-কাঠামো পশ্চিমবঙ্গের থেকেও খারাপ। ‘‘আমাদের রাজ্যে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থা অনেকটাই ভাল। এ দিনের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় বেতন সংক্রান্ত দাবিদাওয়ার সুরাহা কবে হবে, সেই বিষয়েও শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও ধারণা পাওয়া গেল না,’’ বলছেন রমিউল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy