কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে নিজের অনড় অবস্থান দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়ে কৈলাসের সঙ্গে বৈঠক হয় দিলীপবাবুর। দলীয় সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দিলীপবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদে কোনও পরিবর্তন তিনি চান না।
গত রবিবার প্রকাশিত যুব মোর্চার রাজ্য কমিটিতে দিলীপবাবুর পছন্দ অনুযায়ী প্রকাশ দাস নামে এক জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, তা নিয়ে দিলীপবাবুর সঙ্গে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান, কৈলাস এবং আর এক কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের মতান্তর হয়। কৈলাসের পছন্দ ছিল মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পাণ্ডা এবং অনুপম হাজরা। তাঁদের মধ্যে অনুপমকে সহ সভাপতি করা হলেও শঙ্কুকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। তাই যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি কেন্দ্রীয় নেতাদের সকলের পছন্দ হয়নি। সৌমিত্রকে দিল্লিতে তলব করে সেই অপছন্দ জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই যুব মোর্চার নতুন কমিটির ৬ তারিখের নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন কৈলাসের সঙ্গে বৈঠকে দিলীপবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, শঙ্কুকে সাধারণ সম্পাদক করার পক্ষপাতী তিনি নন। পরে দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘কৈলাসজির সঙ্গে কোনও বৈঠক করিনি। অনেক দিন ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই আড্ডা মেরে এলাম।’’ যুব মোর্চার রাজ্য কমিটিতে কি পরিবর্তন হবে? শঙ্কুকে কি সাধারণ সম্পাদক করা হবে? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘পরিবর্তন হবে বলে আমার জানা নেই। শঙ্কুর সঙ্গে কথা বলেই যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি করা হয়েছে। ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাবে বলে ওকে রাজ্যে রাখা হয়নি।’’ সৌমিত্র অবশ্য বলেন, ‘‘কমিটি এখন যা আছে, আছে। তবে বদলের সম্ভাবনা বেশি।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শেষ পর্যন্ত যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি অপরিবর্তিত থাকলে বিজেপির গোষ্ঠী সমীকরণে মুকুলবাবুর চেয়ে দিলীপবাবুর পাল্লাই ভারী থেকে যাবে।
এ দিকে বিজেপি সূত্রের খবর, সাধারণ সম্পাদক হতে না পেরে অনুপমও অখুশি। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে সহ সভাপতি পদ ‘মানহানিকর’ বলে তিনি মনে করেন। যে কারণে গত কয়েক দিন যুব মোর্চার কোনও ভিডিয়ো বৈঠকে এবং শুক্রবার দলের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচিতে অনুপম যোগ দেননি। অনুপম বলেন, ‘‘আমি একটু হতাশ। গত এক বছর আমি রাস্তায় নেমে একের পর এক আন্দোলন করেছি। এ রাজ্যে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে সিএএ-র সমর্থনে প্রথম আন্দোলন আমিই করেছিলাম। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও ছিলাম। কাজের নিরিখে পদ দেওয়া হলে আজ হয়তো হতাশ হতাম না।’’ দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘অনুপম সহ সভাপতি হিসাবেই কাজ করতে চান। তাঁর ঠাকুমা অসুস্থ বলে তিনি বর্ধমানে গিয়েছিলেন। তাই গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিতে আসতে পারেননি।’’
অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই মজা পাচ্ছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ নুসরৎ জাহান টুইট করেছেন, ‘‘সৌমিত্র খান এবং দিলীপ ঘোষের অন্তর্দলীয় লড়াইয়ে কে জেতেন দেখতে দেখতে একটু পপকর্ন খাওয়া যাক! ম্যাচ রেফারি কৈলাস বিজয়বর্গীয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy