সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্টকে। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি। সে দিকেই তাকিয়ে মামলাকারী ইতিশা সোরেন ও তাঁর পরিবার।
পুরুলিয়ার মুরারডিতে আদি বাড়ি ইতিশাদের। বাবা সুনীল দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) কর্মী। সেই সূত্রে তাঁরা থাকেন দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের কোয়ার্টার্সে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রাক্তনী ইতিশা ২০২২ সালে মেডিক্যালে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। কিন্তু ভর্তি হননি। আরও ভাল ফলের আশায় তিনি এ বছর আবারও পরীক্ষায় বসেন। এ বার প্রথম বারের কাউন্সেলিংয়ে তিনি সরকারি কোনও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় বার কাউন্সেলিংয়ে তিনি বজবজের একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান বলে দাবি।
কিন্তু সুনীল জানান, বেসরকারি কলেজে বিপুল খরচ করে মেয়েকে ডাক্তারি পড়ানোর ক্ষমতা তাঁর নেই। তাঁর দাবি, খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তফসিলি জনজাতির আসনে মেডিক্যালে ভর্তিতে অনিয়ম হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে অনেকে সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের কারও কারও পদবি দেখে সংশয় হয়। আবার কেউ অন্য রাজ্যের জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর দাবি, মেয়ের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তফসিলি জনজাতির জন্য নির্ধারিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাননি। এর প্রতিকার চেয়ে প্রথমে একটি আদিবাসী উন্নয়ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখান থেকে সদর্থক সাড়া না পেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন।
সুনীলের দাবি, গত বারেই অনিয়মের সন্দেহ করেছিলেন তাঁরা। এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে বিচারাধীন বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চান না। সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে ইতিশা ও তাঁর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy