Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Crime

সিম-বক্স তদন্তে গোয়েন্দাদের নজরে পাসপোর্ট চক্র

পুলিশ জানিয়েছে, আসাদুরকে জেরা করে শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকে কবীর দফাদার নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে এস টি এফ।

—প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২৭
Share: Save:

একই ব্যক্তি। কিন্তু পাসপোর্ট একাধিক! গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সেই একাধিক পাসপোর্ট দিয়েই বার বার বাংলাদেশ থেকে পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকতেন বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চক্রের চাঁই মহম্মদ আসাদুর রহমান। দিন পনেরো থেকে ফিরে যেতেন। ফের আর একটি পাসপোর্টের ভিত্তিতে ভিসা নিয়ে ঢুকতেন এ দেশে। এ ভাবেই চলছিল বেশ। তবে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় পুরো চক্রের গতিবিধি ফাঁস হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আসাদুরকে জেরা করে শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকে কবীর দফাদার নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে এস টি এফ। পেট্রাপোল বাজার এবং স্বরূপনগরের হাকিমপাড়ায় তল্লাশি করে আরও দু’টি বেআইনি এক্সচেঞ্জের খোঁজ মিলেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৩টি সিম-বক্স মেশিন, ৬০০টি সিম কার্ড-সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, টেলিকম রাজস্ব ফাঁকি চক্রের খোঁজে নামেন গোয়েন্দারা। সেই চক্রে নেমে পাসপোর্ট চক্রের খোঁজ মিলবে, এ কথা ভাবতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের সন্দেহ, ভুয়ো পাসপোর্ট দেখিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিরাও এ দেশে ঢুকতে পারে। সেই তথ্যের খোঁজ চলছে।

সিম-বক্স পদ্ধতিতে বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চলছে, এই অভিযোগে সম্প্রতি রাজ্যের দশ জায়গায় হানা দেয় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সেই চক্রে জড়িত থাকার সুবাদে বনগাঁ থেকে আসাদুরকে পাকড়াও করা হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, সিম-বক্স দিয়ে এক্সচেঞ্জ তৈরির মূল যন্ত্রপাতি চিন থেকে বাংলাদেশে আমদানি করতেন আসাদুর। তার পরে তা ভারতে ঢোকাতেন। এখানে এক্সচেঞ্জ তৈরি করে ওই এক্সচেঞ্জের ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত যেতেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সম্ভবত সে দেশেই এই এক্সচেঞ্জগুলির নিয়ন্ত্রক সার্ভার আছে।

তদন্তকারীদের একাংশ বলছেন, সিম-বক্স পদ্ধতিতে মূলত আন্তর্জাতিক কলকে স্থানীয় বা লোকাল কলে পরিবর্তন করা হয় ও তাতে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়। তবে এই ধরনের কারসাজি অনেক সময় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিও করে থাকে। তাই বনগাঁর মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় এই চক্র সক্রিয় থাকায় জঙ্গি সংশ্রবের সন্দেহ অমূলক বলে মনে করছেন না গোয়েন্দারা। বনগাঁর পাশাপাশি হাওড়াতেও সিম-বক্স চক্রের খোঁজ মিলেছে। এক গোয়েন্দা অফিসার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সাম্প্রতিক অতীতে হাওড়ার কিছু এলাকাতেও জঙ্গি মডিউলের অস্তিত্ব জানা গিয়েছিল। তাতেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime police arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy