ফাইল ছবি।
এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে এ বার কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।নিরাপত্তার দাবিতে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সাত জন চিকিৎসক। ইস্তফা দেওয়ার সময় তাঁরা অভিযোগ করেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে কাজের পরিবেশ নেই হাসপাতালে। তাঁরাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও ৬ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দিতে চলেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। ও দিকে, এনআরএসে ৭০ জন হাউস স্টাফ (পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক) তাঁদের ইস্তফাপত্র লিখে ফেলেছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে এসে বিবৃতি দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। না হলে তাঁরা গণ ইস্তফা দেবেন। ডাক্তারদের গণ ইস্তফার প্রস্তুতি চলছে আর জি কর, এস এস কে এম, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে সাত জন চিকিৎসক বৃহস্পতিবার গণ ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ জন রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও), তিন জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং এক জন প্রফেসর।
তাঁরা ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বিভাগীয় প্রধানের কাছে। বিভাগীয় প্রধান সেই পদত্যাগপত্রগুলি পাঠিয়ে দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়ক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ ওই পদত্যাগপত্রগুলি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘ডাক্তারদের মারা অন্যায় হয়েছে কিন্তু আমার বাচ্চাটার কী দোষ?’
আরও পড়ুন- ‘দোহাই, এই আন্দোলনে ধর্মের রং লাগাবেন না’
এনআরএসে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে নেওয়া প্রস্তাব। - বৃহস্পতিবারের নিজস্ব চিত্র।
ও দিকে, এনআরএসের ডাক্তারদের এ দিনের বৈঠকে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের। তাঁরা বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য লজ্জার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি ডাক্তারদের ‘ক্যাডার’ ও ‘বহিরাগত’ বলেছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথা ভেবেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy