বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
কেন তাঁরা ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে যাচ্ছেন, শনিবার পুরুলিয়ার এক সভা থেকে তারই ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি প্রথমে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘দিদি কী অন্যায় করেছেন? কেন যাচ্ছি আমরা নবান্ন অভিযানে?’’ তার পরে নিজেই তার জবাব দিয়ে বলেন, ‘‘কারণ নেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা মিলছে। বিএড কলেজ, পেট্রল পাম্প-সহ প্রভূত সম্পত্তি তৈরি হয়েছে। এই টাকা কি মেশিনের, না গাছের, না সরকারের? এই টাকা দুর্নীতির টাকা।’’ একই সঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের অনেক নেতাই এ বারে দুর্গাপুজো দেখতে পাবেন না। তাঁদের জেলে কাটাতে হবে।’’
তৃণমূল নেতাদের অনেকের সঙ্গেই দুর্গাপুজোর যোগ সর্বজনবিদিত। প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দক্ষিণ কলকাতার একটি সর্বজনীনের নাম জড়িয়ে আছে। দিলীপের এই খোঁচার জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘উনি (দিলীপ) যে দলের নেতা, সেই দলের প্রাক্তন সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। একই কাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম আছে দলের বিরোধী দলনেতার। ওঁর মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না।’’
শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীকে সম্মান জানানোর প্রসঙ্গ টেনেও তৃণমূলকে বিঁধতে চেয়েছেন দিলীপ। ছেলে রাজ্য বিজেপির সামনের সারির নেতা, কিন্তু শিশির এখনও খাতায়কলমে তৃণমূলেরই সাংসদ। শনিবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় দিলীপ দাবি করেন, ‘‘শিশিরবাবুর মতো বর্ষীয়ান সাংসদ, আমাদের পার্টির লোক নন। তাঁর বাবা বিপ্লবী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে তৃণমূল।’’ এই সূত্রে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আমি বলেছিলাম, এই দলটা (তৃণমূল) বস্তির দল। এদের সংস্কৃতিটা হচ্ছে বস্তির।’’ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুদা এক দিন তাঁদের পার্টির মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কী ধরনের কথা ব্যবহার করছেন!’’ শিশির প্রসঙ্গ কুণালের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘শিশিরবাবুকে কে অপমান করেছিল? উনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়াতেই কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন, তা হলে ওঁকে কে বলেছিল ভোটের আগে অমিত শাহের মঞ্চে উঠে নাচতে?’’ তৃণমূলে বস্তির সংস্কৃতি চলছে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। তার জবাবে কুণাল বলেন, ‘‘এই কথা বলে তো বস্তিবাসী মানুষকে অপমান করা হয়েছে। আর আমরা তো বলছি, আমরা মা-মাটি-মানুষের দল।’’
সম্প্রতি সারদা কাণ্ডে বিচারাধীন বন্দি দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করেন, সিআইডি জেলে গিয়ে কার্যত হুমকি দিয়ে তাঁর মেয়েকে দিয়ে বলিতে নিতে চাইছে যে, সারদার টাকা শুভেন্দু এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় গরু পাচার-সহ কয়েকটি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। দিলীপ এ দিন বলেন, ‘‘এখন যে ভাবে সিবিআই, ইডি সক্রিয় হয়েছে, সমস্ত টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে, তাই সিআইডিকে দিয়ে কিছু বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। সিআইডি তুলে নিয়ে আসবে, কত টাকা আনল, তা থেকে কিছু বাঁচবে, কেউ জানতে পারবে না। শেষ রক্ষা করার চেষ্টা চলছে সিআইডিকে দিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy