—প্রতীকী ছবি
সরকার দুয়ারে দাঁড়িয়ে। মানুষের হাতে গিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড। তাতেই লোকে সুবিধা পেতে শুরু করেছে বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, দুয়ারে সরকার অভিযানে যাঁরা কার্ড পেয়েছেন এমন ১২৯৭ জন ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার মূল্য ২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা।
স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি যে সর্বাত্মকভাবে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম তার প্রমাণ এই পরিসংখ্যান। হাতে গরম কার্ড পেয়েই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন তাঁরা। পুরো খরচ বহন করছে সরকার।
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, দুয়ারে সরকার অভিযানে ৬৫ লক্ষ মানুষ কার্ড পেতে আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫২ লক্ষ আবেদন প্রাথমিক ঝাড়াই-বাছাইয়ের পর বিবেচিত হয়েছে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ লক্ষ কার্ড বিলি করে দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারিতে সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ লক্ষ কার্ড বিলি করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে প্রশাসনের আশা।
আরও পড়ুন: কমছে সংক্রমণ, রাজ্যে এক হাজারের নীচে নেমে এল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা
আরও পড়ুন: সোমে কলকাতায় বাইক র্যালিতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গে কৈলাসও
সূত্রের খবর, সদ্য কার্ড পাওয়া মানুষদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা মূল্য বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল সরকার বা বিমা সংস্থার কাছে চেয়ে পাঠাচ্ছে। যার অর্থ, দুয়ারে সরকার কার্ড প্রাপকেরা প্রতিদিন অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পাচ্ছেন। প্রতিদিন নতুন কার্ডপ্রাপকদের অন্তত ২০০-২৫০ জন চিকিৎসা করাচ্ছেন। এর থেকেই সরকারি প্রকল্পের সাফল্য দাবি করেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন,‘‘ সরকারি পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে দুয়ারে সরকার আসলে ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়। ১৫ লক্ষ মানুষ কার্ড পেয়েছেন, আর প্রতিদিন চিকিৎসা পাচ্ছেন মাত্র ২৫০ জন! অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে প্রতি লাখে দিনে মাত্র ১৬ জন অসুস্থ হচ্ছেন? আসলে কি তাই? প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কত জন রোগী আউটডোর-ইন্ডোরে চিকিৎসা করাতে আসেন? সরকার তো বলছে, সবাই এখন স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে। তা হলে প্রতিদিন মাত্র ২৫০ জন কেন? ১০ কোটি জনসংখ্যার রাজ্যে প্রতিদিন তো আড়াই লক্ষ মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার কথা। তার মানে কার্ড পেয়েও অধিকাংশ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’’
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরনো কার্ড প্রাপকদের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা যেমন চলছিল তেমন চলছেই। ৩১ ডিসেম্বরও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম ছাড়াও সরকারি হাসপাতালগুলিতেও এই প্রকল্পের অধীনে চিকিৎসা করার প্রবণতা বাড়ছে বলে কর্তারা দাবি করেছেন। কারণ, সরকার হাসপাতালে সব চিকিৎসা এমনিতে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালও সেই মূল্যের চিকিৎসা বিমা সংস্থাগুলির কাছ থেকে আদায় করে। ফলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিষেবা দিয়েই হাসপাতালগুলির নিজস্ব তহবিল তৈরি হয়।২১দিনে ১২৯৭ জনের ২ কোটি টাকার চিকিৎসা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy