ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও মন্ত্রী হিসেবে, কোথাও তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে—নানা কর্মসূচিতে ছিলেন তিনি। কখনও তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা, কখনও দলের নেতা-বিধায়কেরা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে, তাঁর সংস্পর্শে আসা কেউ গেলেন নমুনা পরীক্ষা করাতে, কেউ নিভৃতবাসে।
স্বপনবাবু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত জেলায়, বিশেষত কালনা মহকুমায় নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্বাস্থ্য-কর্তারা জানান, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, যে দিন তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয় তার আগের ১৪ দিনে তাঁর ন্যূনতম এক মিটার দূরত্বের মধ্যে আসা ও অন্তত আধ ঘণ্টা সময় কাটানো ব্যক্তিদের প্রাথমিক সংস্পর্শের তালিকায় রাখা হয়। নামগুলি আক্রান্তকেই জানাতে হয়। সে তালিকা ধরে খোঁজ নেন স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশাকর্মীরা। এই ক’দিন আক্রান্তের মোবাইলের অবস্থান দেখে তথ্য দেওয়া হয় পুলিশের তরফেও। জনপ্রতিনিধিদের গতিবিধির তথ্য অবশ্য আগে থেকেই পুলিশের কাছে থাকে।
গত দু’সপ্তাহে স্বপনবাবু পূর্বস্থলীর পরাণপুর ও জালুইডাঙা গ্রামে নদীবাঁধের উদ্বোধন, কালনায় রাখিবন্ধন উৎসব, আটঘোরিয়ার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন। আটঘোরিয়ার অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা। এ ছাড়া, অন্য অনুষ্ঠানে তাঁর আশপাশে দেখা গিয়েছে পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক, জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের সভাপতি তপন পোড়েল-সহ অনেককে।
আরও পড়ুন: ২৮ অগস্ট লকডাউন নয় রাজ্যে, নবান্নের নির্দেশিকা
মন্ত্রীর করোনা ধরা পড়ার পরেই বুধবার অনেকে নমুনা পরীক্ষা করাতে হাজির হন। কালনায় জনা চল্লিশ নমুনা দিয়েছেন। পুলিশ সুপার ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলছি। যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে, সে ভাবে কাজ করব।’’ শম্পাদেবী বলেন, ‘‘নিভৃতবাসে থাকছি। পরীক্ষাও করিয়ে নেব।’’ একই বক্তব্য দিলীপ মল্লিকেরও। তপনবাবু এ দিনই নমুনা দিয়েছেন। বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর থেকে দূরত্বে ছিলাম। এখনও পরীক্ষা করাইনি।’’
স্বপনবাবু পূর্বস্থলীর দামোদরপাড়ায় নিজের তৈরি একটি বৃদ্ধাবাসে থাকেন। এ দিন সেটি ‘স্যানিটাইজ়’ করে প্রশাসন। মন্ত্রীর সংস্পর্শে আসা লোকজনকে কী ভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কালনা, মেমারি-সহ কিছু জায়গার কয়েকজনের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তবে সব নাম হাতে আসেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy