পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
কলেজগুলিতে অতিথি শিক্ষকদের বেতন সমস্যা চলছে ডিসেম্বর থেকেই। অনেক কলেজেই তাঁরা সাম্মানিক বেতন পাচ্ছেন না। ওই শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনার কথাও জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে তাঁদের অনেকেই যোগ্যতা সম্পন্ন নন বলে জানান খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে উত্তরকন্যায় বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরেই এ কথা জানান। অভিযোগ, ওই অতিথি শিক্ষকদের অনেকের ৫৫ শতাংশের নীচে নম্বর নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের স্বীকৃতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। নিয়মমাফিক কলেজগুলিতে শিক্ষকতা করার ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশের বেশি নম্বর থাকতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কলেজগুলি কী ভাবে তাঁদের নিয়োগ করেছে? তা ছাড়া কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তির সমস্যা নিয়েও বিস্তারিতভাবে সকলের কাছ থেকে শোনেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কলেজগুলিতে অতিথি শিক্ষকদের বিষয়টি ‘ভেরিফিকেশন’ চলছে। নিয়ম দেখা হয়েছে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা দেখছে। অনেকে ৫৫ শতাংশের নীচে রয়েছেন। সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনেকে ৫৫ শতাংশ পেয়েও অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। সেটা নিয়েও একটা সমস্যা রয়েছে। এটাকে কী করে সমন্বয় করা যায়, দেখা হচ্ছে। আর যাদের যোগ্যতা রয়েছে, তাদেরটাও যত শীঘ্র সম্ভব দেখা হচ্ছে।’’ দু’মাসের বেশি সাম্মানিক ভাতা না-পাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার তাঁদের নিয়োগ করেনি। কলেজগুলি দেখবে। আমরা দেখছি যাঁদের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেই যাতে বিবেচিত হন এবং সুযোগ পান। তবে অনেকের ক্ষেত্রে নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসি’র অনুমোদন নেই, অনেকের ৫৫ শতাংশ নেই। এই সব সমস্যায় দেরি হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘অনেকে যে কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে রয়েছেন, তার ব্যাঙ্কের কোনও নথি নেই। নগদে তাঁকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তা হলে চলবে না। এটা কী ভাবে ঠিক করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’’
এ দিন উত্তরবঙ্গের ৭৩টি কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পলিটেকনিক কলেজের মতো ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী অধ্যক্ষদের কাছ থেকে সামগ্রিক সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেখানে আসনের চেয়ে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় তিন গুণ। আবার মাথাভাঙা কলেজে অধ্যক্ষকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বিব্রত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই চাপে যোগ্যতা না-থাকলেও অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী জানান, নিয়মিত ক্লাস যাতে হয়, সে জন্য বলা হয়েছে। কলেজে অতিরিক্ত পড়ুয়া না-নিয়ে অন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বলা হয়েছে। যে সব কলেজে টিআইসি বা তা-ও নেই, সেই সমস্যা যতটা সম্ভব দ্রুত মেটানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy