হাইকোর্টের রায় এর পর চাকরি চলে যাওয়া হতাশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার শহিদ মিনারে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
স্কুলে চাকরি করছিলেন তাঁরা। কিন্তু চেষ্টা করেও বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি হতে পারছিলেন না।
‘পাস গ্র্যাজুয়েট’ শিক্ষক থেকে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট’ শিক্ষক হিসেবে উন্নীত হলে বাড়ির কাছে পড়ানোর সুযোগ পাবেন। এই আশায় পুরনো চাকরি ছেড়ে নতুন করে ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং পাশ করে স্কুলে চাকরিও পেয়েছিলেন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বাতিল করা তালিকায় ঢুকে পড়েছেন তাঁরাও। যদিও গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা এই শিক্ষকদের কাছে এখনও নির্দিষ্ট খবর আসেনি।
অভিজিৎ মণ্ডল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝাপবেড়িয়ার বাসিন্দা। ২০১১-তে চাকরি পান মালদহে। চেয়েও বদলি পাননি। ২০১৬-তে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ঝাপবেড়িয়ার হাইস্কুলে যোগ দেন। মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সবার নিয়োগ বাতিল হলে আমিও সেই দলে পড়ে যাব। সত্যিই কি চাকরি চলে যাবে?’’
জয়তী হালদার ২০১০-এ দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের একটি স্কুলে শিক্ষিকার পদে যোগ দেন। তবে বদলি নয়, পাস গ্র্যাজুয়েট থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কেলে বেতন পেতে এবং আরও উঁচু ক্লাসে পড়াতে ২০১৬-তে আবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ডায়মন্ড হারবারের হাইস্কুলে চাকরি পান। জয়তী বলেন, ‘‘আমাদের কেন বাতিলের দলে ফেলা হল?’’
বেশ কিছু শিক্ষক জানাচ্ছেন, বাড়ির কাছে বদলি চাইলে আইনের জালে দেরি হয়ে যায়। অনেক সময় বদলি হয়ও না। অনেকেই তাই ফের পরীক্ষা দিয়ে র্যাঙ্ক ভাল করে বাড়ির কাছে আসতে চান। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার জানাচ্ছেন, ২০১৬-র আগে চাকরিরত শিক্ষকরা নতুন নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিতে পারতেন না। পরে একটি মামলায় আদালত নির্দেশ দেয়, কর্মরত শিক্ষকেরাও নতুন নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy