মানস, মুকুল, শুভেন্দু।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করতেই পাঁচ বছর আগে ঘটে যাওয়া মানস ভুঁইয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। যিনি বর্তমানে রাজ্য সরকারের জলসম্পদ মন্ত্রীও বটে। স্পিকারের এই ঘোষণাকে সমর্থন করে একে যথার্থই বলেছেন তিনি।
মানস বলেছেন, ‘‘একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। এই বিধানসভায় এই ধরনের বির্তক তৈরি হয়েছিল মানস ভুঁইয়াকে কেন্দ্র করে। আমি ছিলাম কংগ্রেসের সব চাইতে প্রবীণ সদস্য। বিরোধী দলের সদস্য। এবং আমাকে আমার দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে নিয়ম তাঁকে বিরোধী দলের হতে হবে। অর্থাৎ বিরোধী দল থেকে নিতে হবে। এবং অবশ্যই বরিষ্ঠ সদস্য হতে হবে। যিনি নমিমেট করেছেন তাঁর নাম প্যানেলে থাকতে হবে। মানস ভুঁইয়ার নাম ছিল। তাই আমার নাম স্পিকার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তা মানতে পারেনি। তখন কংগ্রেস বলেছিল তাঁদের বন্ধু সিপিএমের সদস্যকে সুজন চক্রবর্তী দিতে হবে। তাই আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি পদত্যাগ করিনি। আমাকে কংগ্রেস সাসপেন্ড করেছিল। আমি হতে পারলে মুকুলে আপত্তি কিসে?’’ সেই ঘটনার পর ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন মানস।
তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ বারের ঘটনাকে মানসের ঘটনার সঙ্গে তুলনায় আনতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬ সালে যা হয়েছিল, তার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। কারণ সেই সময় মানস ভুঁইয়া কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। আর এখন মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই দুটি বিষয়কে এক করে দেখা উচিত নয়।’’ ২০১৬ সালে যখন মানস ভুঁইয়া পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসেন, তখন তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে সবংয়ের বিধায়ক ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য হলে বিধায়ক পদের সঙ্গে পিএসি চেয়ারম্যান পদও ছেড়ে দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy