প্রতীকী ছবি।
আশা-কর্মীর চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্ত্রীর চাকরির জন্য ঋণ নিয়ে টাকা দিয়েও, চাকরি মেলেনি। এর মধ্যে টাকা শোধের জন্য তাগাদা বাড়তে থাকায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তি কীটনাশক খান বলে পরিবারের দাবি। পুলিশ জানায়, মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে ওই ব্যক্তির বয়ান নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
পেশায় টোটোচালক ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রীকে স্থানীয় বড়র উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূল কর্মী তথা পঞ্চায়েতের গ্রামসম্পদ কর্মী (ভিআরপি) শুভঙ্কর মজুমদার ৫৫ হাজার টাকা নেন। চাকরির লোভ দেখিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা রায় তাঁকে দিয়ে কিছু ‘অনৈতিক’ কাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার দাবি করেন, “মণিকা আমাকে দিয়ে কয়েক জনের কাছ থেকে টাকাও তুলিয়েছিলেন। এখন টাকা ফেরাতে অস্বীকার করছেন। মাথা ঠিক রাখতে পারছিলাম না।’’ তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “আমরা গরিব মানুষ। মণিকা ও শুভঙ্কর আমাকে আশা-কর্মীর চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা থেকে ধার নিয়ে তাঁকে ৫৫ হাজার টাকা দেন স্বামী। চাকরি হয়নি, টাকা ফেরতের তাগাদাও বাড়ছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। আমি দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাই।’’ মণিকার পাল্টা দাবি, “ওই ব্যক্তির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই নেই। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার মতো এক জন সদস্যের চাকরি দেওয়ার কী ক্ষমতা আছে?” শুভঙ্করেরও দাবি, “আমার চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’ এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।’’
জেলা (বর্ধমান সদর) বিজেপির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের দাবি, ‘‘এই ঘটনা একটি উদাহরণ মাত্র। তৃণমূলের শীর্ষ থেকে নিচু স্তর অবধি এমন দুর্নীতিতে যুক্ত।’’ রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডুর বক্তব্য, ‘‘ঠিক কী ঘটেছে, তা জানা প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy