ফাইল চিত্র
বাংলার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পিছনে একটি বড় কারণ হিসেবে সরকারের বিবিধ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অবদানকে স্বীকার করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই। তৃণমূলও মনে করে, ‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট’ ওই সব প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি মানুষের ভরসা বাড়িয়েছে। এ বার ত্রিপুরাকে নজরে রেখে সেখানেও এই ‘বাংলা মডেল’ তুলে ধরার পরিকল্পনা করছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, “ত্রিপুরা আমরা জিতবই। কারণ, বাংলার প্রকল্পগুলি ত্রিপুরায় চালু হোক, আমরা চাই। ত্রিপুরার মানুষ নিখরচায় চিকিৎসা পাক, চাল পাক। তাদের ভাল হোক, আমরা চাই।”
ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি মজবুত করতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। আবার তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার এবং পাঁচ বারের বিধায়ক জিতেন সরকার চিঠি লিখেছেন মমতাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন নেতানেত্রী ত্রিপুরায় দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের নেতানেত্রীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “হোটেলে গিয়েও বিরক্ত করা হচ্ছে। বাড়াবাড়ি চলছে। গণতন্ত্র বা আইনশৃঙ্খলার কিছুই নেই। গুন্ডারাজ চলছে। জিতেন এবং তাঁর অনুগামীরা আমাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন। অভিষেককে এটা পাঠিয়েছি। এ ভাবে আটকানো যাবে না। ওরা যে হিংসা করছে, দেখতেই পাচ্ছেন। মহিলাদেরও মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।”
এরই সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই কার্যত কটাক্ষ করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়েও পায়নি। বঙ্গের উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, “আমাদের এখানে বিজেপি নেতারা রোজ রাজ্যপালের কাছে বসে থাকে। রাজ্যপাল বেশি সময় দেন তাদের, তাঁকে ভাল বলতে হবে। তিনি প্রতি সন্ধ্যায় তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আমাদের দল ত্রিপুরার রাজ্যপালের সময় চেয়েও পায়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy