সৈকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নিশুতি রাত। শনশনে হাওয়া সৈকত জুড়ে। তার মধ্যেই একা হেঁটে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত হাঁটতে বেরিয়ে ফের ঢুকে পড়লেন হোটেলে। সকালের আগে কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘নৈশ অভিযান’-এর কথা।
সোমবার বিকেলেই জেলা সফরের কর্মসূচির অংশ হিসাবে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতে হেলিকপ্টারে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী তিনি ওল্ড দিঘাতে একটি অতিথিশালার উদ্ধোধন করেন। তার পর জেলা রাজনীতির যুযুধান দুই নেতা অখিল গিরি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পৌঁছে যান আমজনতার বাড়ির অন্দরে।
দিঘা লাগোয়া মৈত্রাপুর গ্রামে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান আরতি সিংহ নামে এক গ্রামবাসীর বাড়ির উঠোনে। সেখানে দলের নেতা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে চলে আরতি এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে গল্প। ‘জনসংযোগ’ যাত্রা শেষ করে তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। রাতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ওল্ড দিঘায় সমুদ্র লাগোয়া সৈকতাবাসে।
সেখানেও ছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ বাহিনীও। সূত্রের খবর, তিনি নিজের ঘরে চলে যেতে নিজেদের ঘরে চলে যান তাঁর নিরাপত্তা কর্মীরা। তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি রাত তিনটে নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়বেন! সূত্রের খবর, অত রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে চমকে যান সৈকতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষীরা। বাইরে-ভেতরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীরা ছাড়াও ছিলেন জেলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। তাঁদের অধিকাংশই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাঁদের কাউকে না জাগিয়েই বাইরে বেরিয়ে পড়েন মমতা। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পান তাঁর এক নিরাপত্তারক্ষী। তিনি বাকিদের জাগাতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী বারণ করেন। তাঁকে নিয়েই বেরিয়ে পড়েন সৈকতে।
আরও পড়ুন: বিজেপি দফতরে শোভনের সংবর্ধনা, বিজ্ঞপ্তিতে নিজের নাম না থাকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বৈশাখী
আরও পড়ুন: ২৯ দিনের পথ পেরিয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ল চন্দ্রযান-২
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা সকালে গোটা ঘটনা জানার পর হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। সৈকতে জেলা পুলিশের তরফে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। কী ভাবে সমস্ত নিরাপত্তারক্ষীর অগোচরে তিনি বেরোলেন তা ভেবে তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন শীর্ষ পুলিশ কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy