সপার্ষদ: জগন্নাথ মন্দিরের নকশায় নজর মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
মাঝে কেটেছে প্রায় আট মাস।
তারই মধ্যে ফের দিঘায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে নতুন করে গড়ে পুরীর ধাঁচেই ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত জগন্নাথ মন্দিরের নকশা, প্রকল্প রিপোর্ট হাতে নিয়ে মঙ্গলবার মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়েই তাঁর ঘোষণা, ‘‘জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য আমাদের প্ল্যানিং হয়ে গিয়েছে। এটা একটা বড় কাজ। দু’বছরের মধ্যে করার চেষ্টা হবে।’’
গত বছর ডিসেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে দিঘাতেই প্রশাসনিক বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দির সেটিকে একটু বড় করে তৈরি করা হবে, যাতে পুরীর মতো এখানেও পর্যটকেরা এসে সমুদ্র ভ্রমণের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের সুযোগ পান। তারপর ফের দিঘায় এসেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এই প্রকল্প রূপায়ণে তাঁর সরকার কতটা তৎপর।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতোই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ার পরিকল্পনা তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। দিঘায় কনভেশন সেন্টার উদ্বোধনের পরে সোজা এ দিন ওই মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৪টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সটান পৌঁছে যান ওই জগন্নাথ মন্দিরে। মন্দিরে পুজো দেন। তারপর শুভেন্দু অধিকারী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শিশির অধিকারী, রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে ও জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে পাশে নিয়ে মন্দিরের নকশায় মূল অংশ, প্রবেশপথ-সহ খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেন। প্রস্তাবিত মন্দিরের ছবি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘‘পুরীর আদলে এখানে জগন্নাথ মন্দির হবে। পুরীর মন্দিরের সমানই উচ্চতা হবে। সমুদ্রের পাশে অনেকটা জায়গা আছ। সরকার এটা করবে। কারণ এটা পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত। এটা একটা ধর্মীয় তীর্থ এবং সংস্কৃতি কেন্দ্র।’’
প্রায় দু’একর জমিতে ওই মন্দির গড়ে উঠবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘মন্দির তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। পর্যটন দফতর প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। টেন্ডার করে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’
এ দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো দেওয়ার সময় হাজির ছিলেন মন্দিরের পুরোহিত মহারাজ গোপাল দাস। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছ থেকে প্রথম দেখলাম। উনি বলেছেন, এই মন্দির থাকবে। সামনে একটি বড় জায়গায় মন্দির হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আমরা খুশি।’’ মন্দির কমিটির সদস্য শক্তিপদ সাউও বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই যে ভাবে এখানে জগন্নাথ মন্দির গড়ায় উদ্যোগী হয়েছেন তাতে আমরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy