ছবি ফেসবুক থেকে।
ছোটদের কবিতা লিখতে গেলে ছোট হয়ে ভাবতে হয়। বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কী প্রসঙ্গে তিনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিলির অনুষ্ঠানে কবিতার প্রসঙ্গ টানলেন, তা স্পষ্ট করেননি মমতা। একইসঙ্গে সমাজে নেতিবাচক ভাবনারও নিন্দা করেন মমতা। মমতা বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় অনেক কবিতা পড়েছি। সেগুলি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেননি... বাচ্চাদের মতো কিছু তৈরি করতে হলে, মনটাকে বাচ্চার মতো হতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, ছোটদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতার বই ঘিরে নানা সময় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমি বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। যা ঘিরে তীব্র সমালোচনায় মুখরিত হন বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। সেই প্রেক্ষাপটে ছোটদের কবিতার প্রসঙ্গ টেনে যে মন্তব্য করলেন মমতা, তা অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর নিজের কবিতার বইয়ের সমালোচনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্য পেশ করেছেন কি না ,তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে মমতা বলেন, ‘‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন কত কবিতা পড়তাম। ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে’, ‘কাঠবেড়ালি তুমি আমার বন্ধু হবে’ এগুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেননি, এরা যে কী গ্রুপ জানি না। সমাজের একটা বড় অংশ। তাঁদের সম্মান জানাই। কিন্তু ভাবতে বলব। আপনি যখন বাচ্চাদের জন্য কিছু তৈরি করবেন, আপনাকে প্রথমে বাচ্চা সাজতে হবে,মনটাকে বাচ্চাদের মতো করতে হবে... কেউ কেউ পুরোটা না দেখে হঠাৎ করে চিৎকার শুরু করেন। একেবারে হরে করে কম্বার মতো। আবার এটা শুনে বলবেন, এটা কিছু হয়? হ্যাঁ নিশ্চয়ই হয়।আগেকার দিনের কবিতার বই দেখে নিন। অনেক কিছু চোখে পড়বে। নদী নিয়েও পড়বে, শিক্ষা নিয়েও পড়বে, প্রকৃতি নিয়েও পড়বে...।’’
মমতা আরও বলেছেন, ‘‘সবসময় নেতিবাচক কথা নিয়ে কী ভাবে বিতর্ক তৈরি করা যায়, সে দিকে দৃষ্টি দিই। নেতিবাচক কথা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়।’’ একইসঙ্গে তিনি সকলকে ইতিবাচক চিন্তা করার পরামর্শ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy