অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের এক সদস্য। সোমবার বিধানসভায় এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর পরিবারের কোন সদস্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। বাকি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।
জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহেই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে শিশুদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সোমবার বিধানসভায় আবার এই নিয়ে সরব হলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার পরিবারের এক জন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। আমি এ সব বলে বেড়াই না।’’ ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য সরকার তৎপর এবং পদক্ষেপ করেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বলা হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট) নেই। সিপিএম জমানায় জিরো ছিল। ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬টি এসএনসিইউ রয়েছে।’’
ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘‘কোভিডের পর অসুখ হলেই আমরা ভয় পাই। কারণ সেই সময় পরিজনদের আমরা হারিয়েছিলাম। আমি ভাইকে হারিয়েছিলাম।’’ কোভিডের সময় রাজ্যে যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ছিল, তার থেকে পরিষেবা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘বাচ্চাদের খুব ভালবাসি। আর যাতে কারও না হয়, তাই আবার মাস্ক পরুন।’’
রবিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে আড়াই হাজারেও বেশি এসএনসিইউ বেড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ৬৫৪টি পিকু (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ১২০টি এনআইসিইউ (নিও নেটাল কেয়ার ইউনিট) বেড। আরও ৭৫টি পিকু বেড চালু করা হয়েছে বিসি রায় হাসপাতালে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের বিসি রায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy