গ্রামীণ রাস্তায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা অনেক আগেই জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তাঁর অভিযোগ, সরকারের সেই নির্দেশে মাছ এবং কাঁচা আনাজের গাড়িতে ছাড়পত্র থাকলেও, অন্য গাড়িও চলাচল করে রাস্তা ভাঙছে। তা ছাড়া জল জীবন মিশনের পাইপ পাতার কারণেও রাস্তা কাটা হলে সারাই করা হচ্ছে না। এই সূত্রে মমতার নির্দেশ, গ্রামীণ রাস্তায় ওভারলোড সমস্যা দেখতে হবে পুলিশকে। আর যে দফতর রাস্তা কাটবে, সারাই করতে হবে তাদেরই।
মমতার অভিযোগ, পুলিশ এবং আধিকারিকদের একাংশ এ কাজে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় ভাবে টাকা খেয়ে কাজ করা হলে ধরা হবে। ডিজি একটা পদ্ধতি তৈরি করবেন। রাজনৈতিক নেতারাও ছাড় পাবেন না। পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক রাস্তা হয়েছে। অপব্যবহার বরদাস্ত হবে না।” তাঁর অভিযোগ, রাস্তা তৈরির সময়ে জলের পাইপও ভেঙে দিচ্ছেন ঠিকাদারদের একাংশ। মমতার সংযোজন, “দফতরের প্রধান থেকে হেড ক্লার্ক— সকলকে দায়বদ্ধ করা হবে। আইনি পদক্ষেপ হবে। কেউ কাউকে কাজ পাইয়ে দিলেও দায় নিতে হবে। কোনও আধিকারিক টাকা খেয়ে কাজ করলে তা তাঁর থেকে উদ্ধার করতে হবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)