মমতা আহত হওয়ার প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায় আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে— এই অভিযোগ করার পরই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। নন্দীগ্রাম থেকে মমতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তৃণমূল সমর্থকদের ঢল নেমেছিল সেখানে। মমতাকে দেখতে এসে তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করে পুজোও দেওয়াও শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়াগায়।
মেদিনীপুর শহরের কেরানিটোলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ধর্মা এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এই চিত্র দেখা গিয়েছে পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাতেও। পুরুলিয়ায় ইন্দকুরি মোড়ে মানবাজার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন মমতা অনুগামীরা। সেই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন মানবাজারের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যারাণি টুডু এবং মানবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবেন মাহাতো। সেখান থেকেই স্লোগান ওঠে— মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। আসানসোল সিটি বাস স্ট্যান্ডে পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একই ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদেও। রঘুনাথগঞ্জ-লালগোলা রাজ্য সড়কের ভাগীরথী সেতুর উপর টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল কর্মীরাও মমতাকে ‘আক্রমণের’ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। বুধবার রাতেই বর্ধমান শহরের ভাতছালায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল। ওই জেলার মেমারি, রায়না, জামালপুরেও তৃণমূল সমর্থকদের পথ অবরোধে শামিল হতে দেখা গিয়েছে।
হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মমতার আহত হওয়া নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। চুঁচুড়াতে বৃহস্পতিবার সকালেই প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন তৃণমূল সমর্থকরা। ঘড়ি মোড় থেকে সেই মিছিল বের হয়ে খরুয়া বাজার, লোহাপট্টি, বাস স্ট্যান্ড, আখন বাজার, বড়বাজার-সহ চুঁচু্ড়া শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরেছে। শেওড়াফুলি এবং শ্রীরামপুর শহরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বোলপুর-ইলামবাজার-বর্ধমান রোড অবরোধ করা হয়েছিল। লাভপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে পুরনো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূল সমর্থকরা। দুবরাজপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। উত্তর ২৪ পরগনার টাকি এবং অশোকনগরেও বিক্ষোভ হয়েছে সকালে। কামারহাটিতে মদন মিত্রের নেতৃত্বও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সমর্থকরা।
মমতাকে উপর হওয়া ‘আক্রমণ’-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করে পুজোও দিয়েছেন দিদির অনুগামীরা। আসানসোলে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে মমতার আরোগ্য কামনা করে পূজা দেন তৃণমূল সমর্থকরা। তারাপীঠ মন্দিরে তাঁর সুস্থতা কামনায় যজ্ঞও করা হয়েছে। দলনেত্রীর সুস্থতা কামনায় তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তারকেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিংহ রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy