মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা লোগো স্থান পেতে চলেছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ঘরগুলিতে। সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের হাতে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা লোগোটি। স্থির হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা লোগোটি থাকবে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি হওয়া সব বাড়িতেই। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় পুর এলাকার বাসিন্দাদের। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের দায়িত্বে আসার পরেই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্পে জোর দিয়েছিলেন মমতা। সেই ভাবনা মাথায় থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর শুরু করে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প। বিভিন্ন ছোট শহরে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে এই প্রকল্পটি। প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এঁকেছেন একটি লোগো।
নীল রঙের এই লোগোটিতে স্থান পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হাতে আঁকা বিশ্ব বাংলার লোগোটিও। তার নীচে হলুদ রংয়ের মোটা হরফে লেখা ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের নাম। লোগোয় রাখা হয়েছে প্রতীকী দু’টি পাকা বাড়িও।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর চায়, নতুন এই লোগোটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করুন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কিন্তু মমতার ব্যস্ততার কারণে এখনও তাঁর সময় পাওয়া যায়নি। তাই লোগোটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু সময় অপেক্ষা করতে চান তাঁরা। তবে এই প্রকল্পের অধীন যে সমস্ত বাড়ি তৈরি হবে, সেই সব বাড়িগুলিতে এই লোগোটি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘লোগোটি কবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি সময় দিলেই বিষয়টি ঠিক করা হবে। তবে আগামী দিনে এই প্রকল্পের অধীনে যে সমস্ত পাকা বাড়ি তৈরি হবে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা লোগোটি থাকবে। সেই নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।’’
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের অধীনে আগামী দিনে রাজ্য জুড়ে ৫০ হাজার বাড়ি তৈরি করা হবে। পুরসভা এলাকায় নিজস্ব জমি বা বাড়ি থাকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে বলে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক। বাড়িগুলি তৈরিতে খরচ হবে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়ি পিছু দেড় লক্ষ টাকা। ছোট পুরসভা এলাকায় রাজ্য সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বড় পুরসভা এলাকায় সেই বরাদ্দ ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। ছোট শহরের বাসিন্দাদের এই প্রকল্পের জন্য বাড়ি পিছু খরচ করতে হবে ২৫ হাজার, বড় শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি পিছু দিতে হবে ৩৫ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy