ছবি: টুইটার।
ভোট-বাক্সে ফায়দা তুলতে নয়, বরং মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্যই বরাবর কাজ করে গিয়েছেন। তাঁদের স্বার্থরক্ষার কথাও তিনিই প্রথম ভেবেছেন। এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় মঙ্গলবার এক জনসভায় তিনি বলেন, “আগে মতুয়াদের দিকে কেউ তাকিয়েও দেখত না। আমি মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করেছি। এখানে ফ্লাইওভারের পরিকল্পনাও রয়েছে।”
মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য তাঁর সরকার যে নানা কাজকর্ম করেছে, তারও খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। সেই সঙ্গে বনগাঁয় যে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে উন্নয়নের সেই সব খতিয়ান তুলে ধরার আগে মতুয়া সম্প্রদায়ের একসময়কার প্রধান বীণাপাণি দেবী বা বড়মার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথাও জানিয়েছেন মমতা। এবং সেই সম্পর্ক যে কেবলমাত্র ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখেই নয়, সেই দাবিও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফেব্রুয়ারিতে এ রাজ্যে প্রচারে এসে বড়মার সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন নাম না করে সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতার আরও দাবি, মতুয়াদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধুমাত্র ভোটের খাতিরে নয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, দীর্ঘ দিন ধরেই বড়মার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। তাঁর কথায়: “আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে বড়মার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। গত তিরিশ বছরে কেউ তাঁর খোঁজ নিয়েছেন?” এর পর জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, “আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের।”
আরও পড়ুন: ভর্তি হতে হবে শুনে আইডি থেকে উধাও চিন-ফেরত যাত্রী!
শুধুমাত্র বনগাঁর জন্যই নয়, সামগ্রিক ভাবে উদ্বাস্তুদের উন্নয়নের জন্যও তিনি দীর্ঘ দিন লড়াই করেছেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিকটা চ্যালেঞ্জের সুরেই বলেছেন, “এক বার তারকেশ্বর-দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে গত আট বছরে কী উন্নয়ন হয়েছে!” এ রাজ্যে উদ্বাস্তুদের জন্য নিঃশর্তে জমির দলিলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই সভায়। উদ্বাস্তুদের স্বার্থরক্ষার জন্য সংসদেও লড়েছেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: রোজ ভ্যালি কাণ্ডে আমানত বাজেয়াপ্ত নাইট রাইডার্সেরও
এ দিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়েও ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে সিএএ বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) অথবা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। মমতা জানান, নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড থাকলেই হবে। অন্য কোনও নথির প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy