প্রতীকী ছবি।
রাজনৈতিক নেতাদের মদতে আরামবাগের মুণ্ডেশ্বরী নদী এবং দ্বারকেশ্বর ও দামোদর নদের চর থেকে বছরভর বালি পাচার চলে, এ অভিযোগ অনেক দিনের। বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনেরও মাথাব্যথা। মঙ্গলবার গুড়াপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকেও উঠল আরামবাগের অবৈধ বালি পাচারের প্রসঙ্গ। তবে, জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের শীর্ষকর্তাদের দাবি, বালি পাচার এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
এ দিন মমতা ডিজি বীরেন্দ্রর কাছে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা জানতে চান। বীরেন্দ্র জানান, এখানে বিশেষ সমস্যা বেআইনি বালি খাদান এবং চোলাই কারবার। ডিজির বক্তব্যের পরে মুখ্যমন্ত্রী হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসুর কাছেও অবৈধ বালি পাচার নিয়ে জানতে চান। পুলিশ সুপার জানান, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে আটটি মামলা হয়েছে। ১০টি বালির গাড়ি, দু’টি মাটি কাটার যন্ত্র আটক করা হয়েছে। ১২ জনকে ধরা হয়েছে। এর পরেই তিনি দাবি করেন, বেআইনি বালি পাচার এখন পুরোপুরি বন্ধ। বালি পাচার রুখতে পুলিশ কড়া নজর রাখছে। ঘাটগুলিতে সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও নিয়মিত ভাবে যৌথ তল্লাশি চালাচ্ছেন।
তবে, পুলিশকর্তারা এই দাবি করলেও সাধারণ মানুষের অনেকের বক্তব্য, বর্ষার মরসুমে বালি তোলার কাজ বন্ধ থাকে। বর্ষার মরসুম কাটলেই প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। বৈধ বালিখাদ-মালিকদের একাংশের অভিযোগ, বছরভর রাজনৈতিক মদতে বালি চুরি চলে।
পুলিশ এবং আবগারি দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য মেনে নেন, চোলাই কারবার বন্ধ করা যায়নি। তথাগতবাবু জানান, সিঙ্গুর, চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়া, পুরশুড়া, তারকেশ্বর, পোলবা, মগরায় এই কারবার চলে। মামলা, গ্রেফতার এবং চোলাই তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। চোলাই কারবারিদের জন্য বিকল্প জীবিকার প্রসঙ্গ তোলেন পুলিশ সুপার। মমতা জানান, এই নিয়ে পুনর্বাসন প্রকল্প রয়েছে। আবগারি দফতরের আধিকারিককে এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy