মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের গণবণ্টন প্রক্রিয়ায় যুক্ত মানুষদের জন্য নতুন তিনটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রেশন ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, চাল ও আটাকল মালিকদের সংগঠনের সভায় তিনি জানান, এ বার থেকে রেশন সংক্রান্ত লাইসেন্স এক বছরের বদলে তিন বছর অন্তর পুনর্নবীকরণ করা হবে।
পাশাপাশি নতুন লাইসেন্সের জন্য কার্যনির্বাহী মূলধন ৫ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে এবং রেশনে যুক্ত মানুষদের কেউ কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সরকার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। ১২০০ নতুন রেশন ডিলারের পদে নিয়োগের কাজ চলছে বলেও তিনি জানান। কোভিড কালে রেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত মানুষেরা যে ভাবে কাজ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘ওই অবস্থায় রেশন দোকান কাজ না-করলে মানুষকে অনেক বেশি দুর্ভোগে পড়তে হত।’’ তবে অনেকে বলছেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে রেশন দোকান নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসন ব্যবস্থাও নিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য, ‘‘দু-একটি দোকানে গরমিল হয়েছে। তা নিয়েই সবাই গালমন্দ করেছে। অনেকে তো মিথ্যে কথাও রটিয়ে দেয়!’’ রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের মঞ্চ থেকেই এ দিন ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এফসিআই তো এ রাজ্যে পচা চাল দেয়। তাঁর আরও অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এফসিআই লক্ষ-লক্ষ টন চাল কেনে। এ রাজ্য থেকে তারা মাত্র ৬৯ হাজার টন চাল কেনে। সেখানে রাজ্য বছরে ৪৫ লক্ষ টন ধান কিনে, প্রতি কিলোগ্রামে ৩১ টাকা খরচ করে চাল তৈরি করে এবং সেই চাল বিনামূল্যে রেশনে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ওরা কাজ না-করেই বলে। নির্বাচনে যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা করে না। আমরা কাজ করে তবে বলি।’’ রেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত মানুষদের প্রতি সরকারের মনোভাব জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কমিশনের হার ইতিমধ্যেই বাড়িয়েছে সরকার। কোনও রেশন ডিলারের মৃত্যু হলে তাঁর বিধবা স্ত্রী, বিধবা, অবিবাহিত বা বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যাকে পরিবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy