দিলীপ ঘোষ
তৃণমূলের দিন গিয়েছে, বিজেপির দিন আসন্ন। তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’-এর সমাবেশের পরেই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ছিল রবিবার। তার পরেই দলের রাজ্য দফতরে টলিউড এবং ক্রীড়া জগতের কয়েক জনের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দিলীপবাবু। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল নেত্রী এখন যত চেষ্টাই করুন, আর হবে না। এ বার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই আসবে। মানুষ মন ঠিক করে ফেলেছেন।’’ বিজেপিতে এ দিন যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন টলিউডের অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী পূর্বা চৌধুরী ও ক্রীড়া সেলের নেতা রাজু আয়েঙ্গার, কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবাশিস পাইন প্রমুখ।
ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে এ দিন বেশ কয়েক বার দিলীপবাবুর নাম না করে তাঁকে ‘গামছাবাবু’ এবং বিজেপি নেতাদের ‘কুচো চিংড়ি’, ‘ল্যাটা মাছ’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাবে দিলীপবাবুর পাল্টা তির্যক মন্তব্য, ‘‘সাদা শাড়ি, হাওয়াই চপ্পলের ব্যবসা আর চলবে না। এখন গামছাই থাকবে। আর বিজেপি যদি এতই নগণ্য হবে, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ৫০ মিনিটের বক্তৃতার মধ্যে ৪০ মিনিটই বিজেপির জন্য ব্যয় করতে হল কেন?’’ বস্তুত, দিলীপবাবুর এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনের মূল বক্তব্য, তৃণমূল হতাশ। মমতাও হতাশ। তাঁদের এ বারের ‘শহিদ দিবস’-এর সমাবেশ তারই প্রতিফলন। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘আজ একটা ফ্লপ শো দেখা গেল। খুব কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে একটা সভা করেন। এ বার সেই সভাও হতাশ ভাবে শেষ হল। তৃণমূলের হাড়-পাঁজরা বেরিয়ে পড়ল।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে লোক চলে যাচ্ছে। তৃণমূলের আসন কমে যাচ্ছে। সবই বিজেপি আর দিলীপ ঘোষের দোষ! ওঁদের কোনও দোষই নেই!’’
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের গুলিচালনার ঘটনার তদন্ত করতে কমিশন গড়ে রাজ্য সরকার। সেই কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি কেন, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, ‘‘দু’বছর বাদে তৃণমূল উঠে যাবে। তখন আর তৃণমূলের নামে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy