প্রতীকী ছবি।
এ রাজ্যে ডেঙ্গি ছড়ানোর পিছনে বাংলাদেশের মশাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গি হচ্ছে। আমাদের বাড়তি সাবধানতা নিতে হবে। সীমান্ত এলাকায় মশা ও-পার থেকে এ-পারে আসে, এ-পার থেকে ও-পারে যায়। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন।’’ সব মিলিয়ে তাই ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৪৭৭। ঢাকায় মৃত ১৪। কলকাতা পুরসভার কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলা পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে বাংলাদেশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন।
বৃহস্পতিবার ‘সবুজ বাঁচাও’ অভিযানের ডাক দিয়ে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা। সমাজের সর্বস্তরের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এই মিছিলের শেষে বক্তৃতায় অন্য নানা প্রসঙ্গের সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কিছু হলে এখানে তার প্রভাব পড়ে। তাই সীমান্ত এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ এ ছাড়াও সাধারণ ভাবে ডেঙ্গির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করে দেন মমতা।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবরায়। জেলার সরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৫০ -৬০ শতাংশ ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে এখানে। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, অশোকনগর-কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮, বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। জেলার টিটাগড়ে ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ এবং খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গিয়েছে। ডেঙ্গির প্রকোপ মোকাবিলায় এবার তুলনায় ভাল অবস্থায় রয়েছে দমদম, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পুর এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy