জনতার কাছে: জলপাইগুড়ি ক্রান্তির মাঠে হেলিপ্যাডে নেমে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সৌজন্য বিনিময় করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার। ছবি: সন্দীপ পাল।
বক্তৃতার একেবারে শেষ পর্যায়ে স্লোগানেরও শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রান্তির ভাণ্ডানি মাঠে দাঁড়িয়ে দু’টি বাক্য উচ্চারণ করলেন। তিনি বললেন, ‘‘সবাই এক সঙ্গে কাজ করবেন। যদি দেখেন কোনও নেতা কাজ করছে না, আমাকে সরাসরি বলে দেবেন, আমি দেখে নেব।’’
তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, সকলের শেষে বলা মুখ্যমন্ত্রীর এই দু’টি কথাই ছিল অন্যতম মূল বার্তা। জলপাইগুড়িতে নানা ‘গোষ্ঠী’তে বিভক্ত দলের নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা যেমন দিলেন, তেমনই কোনও নেতা যদি দ্বন্দ্বের জেরে ঘরে বসে থাকেন, তা হলে সে কথা তাঁকে সরাসরি জানাতে বলে গেলেন। এ দিন বক্তব্যের শেষে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের জেলা নেতাদের ডেকেও এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে কয়েকটি জেলার কিছু এলাকা দেখতে বলেছেন। তার মধ্যে আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গিয়ে ‘দেখতে’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে থাকা এসডেজিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী থেকে পাপিয়া ঘোষকেও পঞ্চায়েতের প্রচারে সময় দিতে বলেছেন।
দলের অন্দরের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার অনেক গ্রামে এখনও ‘নির্দল’ প্রার্থীদের হয়ে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ ঝুঁকে রয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু নেতা টিকিট না পেয়ে ‘অভিমানী’ হয়ে ঘরে বসেছেন। দলের প্রচারের কাজে বেরোচ্ছেন না। সে সবই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে রয়েছে বলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই কৌশলী বার্তা দলের নেতাদের সকলকেই চাপে রাখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy