পলাশিপাড়ার বিজয়া সম্মিলনীতে মহুয়া মৈত্র। —নিজস্ব চিত্র।
সংসদে ‘টাকার নিয়ে প্রশ্ন’ তোলার অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার ওই কমিটি বৈঠকে বসে মহুয়া সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে। সংসদের অ্যানেক্স ভবনে যখন এই কর্মকাণ্ড চলছে, তখন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে দলেরই এক বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচিতে ব্যস্ত কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রে মহুয়ার ঠাসা কর্মসূচি ছিল। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত তেহট্টে কিশোরপুরে সকালে একটি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। কর্মসূচি শেষ করে তিনি ফিরে যান তাঁর করিমপুরের বাড়িতে। সেখান থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বিকেল সাড়ে ৩টেয় রওনা দেন পলাশিপাড়ার উদ্দেশে। পলাশিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে তেহট্ট-২ ব্লক তৃণমূল।
মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে করে এথিক্স কমিটি। ওই কমিটির বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্ট অনুমোদিত হয়েছে। মহুয়াকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ছ’জন সদস্য, বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন চার জন। এ বার এথিক্স কমিটি সেই রিপোর্ট পাঠাবে স্পিকারের কাছে। ডিসেম্বরে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় মহুয়া আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘জানাই ছিল!’’
এথিক্স কমিটি যে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে চলেছে তা প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল বুধবারেই। এনডিটিভি তা প্রকাশ করে। এ নিয়ে মহুয়া বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে অভিযোগও জানিয়েছেন। কী করে এথিক্স কমিটির গোপন রিপোর্ট বৈঠকের এক দিন আগে সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। এ নিয়ে স্পিকারকে বৃহস্পতিবারও একটি চিঠি লিখেছেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংসদ দুপুরে এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে সেই চিঠি পোস্ট করে এ-ও দাবি করেন, স্পিকার এ নিয়ে তাঁকে কোনও জবাব দেননি।
‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মহুয়া। তার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে মহুয়া অভিযোগ করেন, এথিক্স কমিটির বৈঠকে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে অবশ্য ‘বিস্মিত নন’ মহুয়া। বুধবারই তিনি বলেছিলেন, ‘‘জানাই ছিল। যা হবে দেখা যাবে।’’ এ বার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন কতটা উত্তপ্ত হয়, মহুয়ার পাশে তাঁর দল ও বিরোধী শিবিরের কারা দাঁড়ান, সেটাই দেখার। দেখার এ-ও, মহুয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক কোন দিকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy