আধার কার্ড সংশোধনে রোদের মধ্যে কোলে ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সোনালি মুর্মুরা। — নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা। আট মাসের শিশু কোলে মালদহের আধার সংশোধন কেন্দ্রের গেটের সামনে বসে রতুয়ার সোনালি মু্র্মু। তিনি বলেন, “আধার কার্ডে জন্ম-তারিখ উল্লেখ নেই। শুনছি, অনেকের আধার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ৪৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শহরের আধার সংশোধন কেন্দ্রের সামনে লাইন দিতে হচ্ছে।”
আধার সংশোধনের জন্য লাইন দিচ্ছেন গাজলের অনামিকা ঘোষ, মিল্কির জাহানারা বিবিদের মতো শয়ে শয়ে মানুষ। জাহানারা বলেন, “লাইনে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড তৈরি করতে হয়েছিল। সে সময় যাবতীয় নথি দিলেও, আধার কার্ডে স্বামীর নাম দেওয়া হয়নি। ফের লাইনে দাঁড়িয়ে সংশোধন করতে হচ্ছে। কারণ, ত্রুটি থাকলে আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে শুনেছি। আধার বাতিল হলে সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হবে।”
বুধবার আধার বাতিলের চিঠির ঘটনা জেলায় প্রকাশ্যে আসে। প্রশাসনের দাবি, এখনও পর্যন্ত জেলার তিনটি পরিবারের মোট ছ’জনের আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে। এর পর থেকেই আধার সংশোধনের জন্য জেলায় হিড়িক পড়েছে। মালদহের বিএসএনএলের সদর দফতরে আধার পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সংশোধন, নতুন আধার কার্ড তৈরি হয়। এনআরসি, সিএএ নিয়ে হইচইয়ের সময় আধার সংশোধনের হিড়িক পড়েছিল। আধার পরিষেবা কেন্দ্রের দাবি, গত, দু’দিনে গড়ে ৩৫০ জন আধার সংশোধনের জন্য এসেছেন। সপ্তাহ খানেক আগে সে সংখ্যা ছিল দেড় শতাধিক।
প্রশাসন পাশে দাঁড়ালেও, আধার কার্ড চালু না হওয়ায় অস্বস্তিতে পরিবারগুলি। পুরাতন মালদহের মুচিয়ার ডুমুরতলার কৃষ্ণ দাস বলেন, “আধার কার্ড বাতিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। অথচ, তা এখনও চালু হয়নি।” মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “কারও আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে কি না, দেখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।”
আধার নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “আধার বাতিল করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মানুষকে এনআরসি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। মানুষের পাশে মুখ্যমন্ত্রী আছেন।” পাল্টা, উত্তর মালদহের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, “আধার নিয়ে মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারও আধার কার্ড বাতিল হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy