ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার, ভোটের দিন অতি সক্রিয়তা এবং গুলি চালানোর অভিযোগে সরব হয়েছে। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে বিভিন্ন সভা ম়ঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এত দিন বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধুমাত্র রাজনীতির পরিসরে সীমাবদ্ধ ছিল। এ বার সরকারি ভাবেও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবকে চিঠি অভিযোগ জানানো হল।
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য চিঠিতে জানিয়েছেন, গত কয়েক দফার ভোটে বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভোটের লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হচ্ছে। এমনকি গত রবিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে গোপীবল্লভপুর, ময়না, বিষ্ণুপুর, ভগবানপুর এবং সবংয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। চতুর্থ দফার ভোটের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, পারুই এবং দুবরাজপুরেও গুলি চলেছিল। পঞ্চম দফায় হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরের লাঠিচার্জ এবং মারধরের ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে।
ষষ্ঠ দফায় গোলমাল রুখতে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)-এর সংখ্যা বাড়িয়ে ছিল নির্বাচন কমিশন। ওই দলে রাজ্য পুলিশের কোনও অফিসার রাখা হয়নি। বাহিনীর হাতে ছিল নিয়ন্ত্রণ। ভোটের দিনে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় ভাষা না জানা এবং রাস্তা না চেনার কারণে, গোলমালের খবর পেয়েও অনেক পর কিউআরটি পৌঁছছে। চিঠিতে এ বিষয়টিও উল্লেখ করে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভোট করতে দলে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। কিউআরটি-তে রাজ্য পুলিশের কোনও কর্মীকে রাখা যায় কি না, তা-ও বিবেচনা করে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘাটালের ভোট মিটতেই ভারতীকে ভবানী ভবনে ডেকে সিআইডি জেরা
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিকৃত ছবি পোস্ট, বিজেপি নেত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলে জামিন সুপ্রিম কোর্টের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy