Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

৪০ বিধায়ক সঙ্গে! প্রমাণ দিতে না পারলে মোদীর প্রার্থীপদ বাতিল করুক কমিশন, নালিশ তৃণমূলের

দলের যুক্তি, মোদীর এই দাবির পক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে বলুক কমিশন। এবং সেটা করতে না পারলে বাতিল করা হোক প্রার্থীপদ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের। —ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৩৩
Share: Save:

তাঁর সঙ্গে ৪০ তৃণমূল বিধায়ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যের পরই ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূলনির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। লিখিত সেই নালিশে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে মোদীর প্রার্থীপদই বাতিলের দাবি জানাল তৃণমূল। দলেরঅভিযোগ, মোদীর ওই মন্তব্য সরাসরি ঘোড়া কেনাবেচার ইঙ্গিত এবং অনৈতিক ভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা।

সোমবারই হুগলির শ্রীরামপুরে নির্বাচনী জনসভায় মোদী দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ৩০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি দাবি করেন, ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর এই বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু মোদীর এই মন্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তৃণমূল। ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলে পাল্টা ‘মেয়াদ ফুরনো প্রধানমন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেন ডেরেক।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে দলের বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের মন্তব্যে আমরা মর্মাহত। ...এটা প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদার পক্ষে বেমানান। উনি ভুল ও বিকৃত তথ্যের মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এই শঠতার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’’

এর পরই অভিযোগপত্রে এসেছে ঘোড়া কেনাবেচার প্রসঙ্গ। তৃণমূলের অভিযোগ, মোদীর এই মন্তব্য ভোটে ‘‘ঘোড়া কেনাবেচা’র স্পষ্ট ইঙ্গিত। আর এই প্রসঙ্গেই কমিশনকে মোদীর প্রার্থীপদ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। কেন? দলের যুক্তি, মোদীর এই দাবির পক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে বলুক কমিশন। এবং সেটা করতে না পারলে বাতিল করা হোক প্রার্থীপদ।

আরও পড়ুন: দলের ধমক খেয়েই মিডিয়ার ঘাড়ে দায় চাপালেন অনুপম, ‘কেষ্টকাকু’ ২৪ ঘণ্টাতেই ‘কেষ্টদা’

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে জেতানোর গর্বেই ভাসছে বারাণসী, মন্ত্র এখন ‘নমামি নমো’

সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার পরও মোদী এবং বিজেপি নেতারা নির্বাচনী জনসভায় সেই কাজই করছেন, অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। আনা হয়েছে বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগও।

অন্য দিকে এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজবাদী পার্টি। দলের নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যামন্ত্রী ৭২ বছরের জন্য মোদীর প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। টুইটারে এই দাবির পাশাপাশি অখিলেশ লিখেছেন, ‘‘১২৫ কোটি ভারতবাসীর জনমত হারিয়ে মোদী এ বার তৃণমূলের ৪০ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছেন বলে অনৈতিক দাবি করলেন। এটা ভোটে কালো টাকা ব্যবহারের ইঙ্গিত।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy