প্রতীকী ছবি।
উন্নয়ন এবং রাজ্যের নানা বাস্তব সমস্যা ছেড়ে নির্বাচনী প্রচারে তরজায় মেতে থাকার অভিযোগে বিজেপি ও তৃণমূল, দুই শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, এক দিকে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এবং অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরস্পরের দলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনছেন, সেগুলি তাঁদের নিজেদের বিরুদ্ধেও প্রযোজ্য। জেনেশুনেই কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দল মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতাদের।
প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে ‘দ্বিচারিতা’ নামে একটি পুস্তিকা। বিশদে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে সেখানে দেখানো হয়েছে, প্রচারে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী যা দাবি করছেন, তার সঙ্গে বাস্তব চিত্রের কতটা ফারাক। পুস্তিকার তথ্য দেখিয়েই প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য এ দিন দাবি করেন, ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ‘সাফল্য’কে প্রচারে ব্যবহার করছে তৃণমূল। কিন্তু ২০০৭-০৮ সালে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার ‘ধনলক্ষ্মী’ নামে প্রকল্প চালু করেছিল। সেই আদলে বিহার, ওড়িশা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো রাজ্যে বিভিন্ন নামে ওই ধরনের প্রকল্প চালু আছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁরাই এই ব্যাপারে পথ-প্রদর্শক! প্রদীপবাবুর কথায়, ‘‘সত্যটা কেউ স্বীকার করছেন না। এটাই দ্বিচারিতা! অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এত কথা বলছেন। অথচ সেই বিল পাশই হয়নি!’’
মোদী-শাহেরা বলছেন ‘অনুপ্রবেশকারী’ মুসলিমদের ‘তাড়িয়ে দেব’ আর মমতা বলছেন ‘আশ্রয় দেব’— এই তরজার মধ্যেও পারস্পরিক রাজনৈতিক স্বার্থ আছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। প্রদীপবাবুর কথায়, ‘‘মেরুকরণের লক্ষ্যে দু’পক্ষ থেকে টানা এই ধরনের কথা বলে যাওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy