কাঁথিতে কর্মিসভায় সুব্রত বক্সী ও শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
উন্নয়নের কাজ দেখেই মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। রবিবার চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দানে আয়োজিত কর্মিসভায় কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে বিপুল উন্নয়নের কাজ হয়েছে ও হচ্ছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ও পুরসভার মাধ্যমে শহর এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়েছে। কাজ দেখেই লোকসভা ভোটে মানুষ তৃণমূলকে বিপুলভাবে সমর্থন করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রের জনবিরোধী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে এবার নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হবে।’’ তিনি জানান, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেদিনীপুর জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। তমলুকে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। নন্দকুমার থেকে দিঘা হয়ে জলেশ্বর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ চলছে। কোলাঘাট ব্লকে বৃহৎ পানীয় জল প্রকল্প তৈরি হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ও ২ চণ্ডীপুর ও নন্দকুমার ব্লকে বাড়ি বাড়ি পানীয়জল পৌঁছে দিতে ৮০০ কোটি টাকা খরচে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
শিশিরবাবু বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন করেছেন। তাই আরও বেশি সংখ্যক মানুষ তৃণমূলে আসছেন।’’ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর নির্দেশ, ‘‘উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে। পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। ভোটে জয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার চালাতে হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন কাঁথিতেও এক কর্মিসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এ বার সাত দফায় ভোট হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নাকি দাবি করেছে, সাত দফায় ভোট হচ্ছে বলে তারা এবার দেখে নেবে। কিন্তু এ রাজ্যে যত বেশি দফায় ভোট হয়, তৃণমূলের আসন তত বেশি বাড়ে।’’ এর স্বপক্ষে গত কয়েকটি নির্বাচনের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। কাঁথি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজে আয়োজিত কর্মিসভায় শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, “কাঁথি এলাকায় শিশিরবাবু বহু বছর ধরে রাজনীতি করছেন। সকলের যে কোনও সমস্যায় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।’’ শিশিরবাবু বলেন, “সব সময় সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। যে কেউ আমার কাছে আসতে পারেন। তার জন্য কোনও সিকিউরিটির বাধা পেরোতে হয়না। আমি সাধারণ মানুষ হিসাবেই মিশতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি।’’ সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy