বাঁ-দিকে, আবু হেনা। ডানদিকে, হুমায়ুন কবীর। বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ালেন হুমায়ুন কবীর, আবু হেনা!
অবাক হলেন?
বিজেপি এবং কংগ্রেসের দুই প্রার্থীকে কিঞ্চিৎ বিভ্রান্ত করতেই দুই ‘ডামি’ প্রার্থীর মনোনয়ন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। আর এ জন্য শাসক দল তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলছে বিজেপি।
নিতান্তই কলেজ পড়ুয়া এবং ছাপোষা ব্যবসায়ী ওই দুই নির্দল প্রার্থীর প্রথম জন মুর্শিদাবাদের রানিতলার বাসিন্দা। অন্য জন জিয়াগঞ্জের যুবক।
বুধবার বিকেলে তাঁরা বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবীর দলের টিকিটে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। সোমবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হেনাও দলীয় প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কংগ্রেসের প্রার্থী আবু হেনা বলেন, ‘‘আমার নাম এবং ওঁর নাম একই। বিভ্রান্তি ছড়াতেই ওঁদের প্রার্থী করা হয়েছে হয়তো। কারা ওঁকে প্রার্থী করেছেন আমি জানি, আপনারাও জানেন।’’ বিজেপির মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর বলছেন, ‘‘শাসকদলের টাকা পয়সার অভাব নেই। তাই তারা টাকা খরচ করে একই নামের নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। এ আর নতুন কায়দা কী হল!’’
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন, ‘‘কাউকে প্রার্থী দাঁড় করার জন্য আমাদের শখ নেই। নিজের নাম কুড়ানোর জন্য কেউ হয়তো নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’’
মুর্শিদাবাদ জিয়াগঞ্জ ব্লকের রঞ্জিতপাড়ার বাসিন্দা নির্দল হুমায়ুন কবীর শেখ ইটভাটা মালিক। তিনি বুধবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। বছর পঁয়ত্রিশের হুমায়ুনের দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
রানিতলার বালিগ্রামের আবু হেনা বুধবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বাড়িতে বাবা মা ও বোন রয়েছে। তিনি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে থেকে বাংলা (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া।
এর আগে তাঁদের বাড়ির কেউ রাজনীতিতে আসেননি। হঠাৎ ভোট দাঁড়ালেন কেন? ‘‘দেশের লোকসভা নির্বাচনে এক বার লড়াই করার ইচ্ছা ছিল, তাই’’, আমতা আমতা করে বলছেন আবু। মনোনয়ন দাখিলে ২৫ হাজার টাকা লাগে, সেই টাকা কে দিল? তাঁর দাবি, ‘‘বন্ধুরা ভোটে দাঁড়ানোর জন্য টাকা জোগাড় করে দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy