দশরথের (বাঁ দিকে) সঙ্গে অভিষেক। ছবি: নারায়ণ দে
মোদী নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে মানুষের প্রকৃত বন্ধু, উত্তরবঙ্গের প্রথম নির্বাচনী জনসভা করতে এসে আলিপুরদুয়ারে সেটাই বললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কখনও স্টেশনে কেটলি হাতে চা বিক্রি করতে দেখিনি৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে আট বছর পরও টালির ছাদের তলায় থেকে মানুষের উন্নয়ন পরিচালনা করে আসতে দেখছি৷”
শুক্রবারই আলিপুরদুয়ার শহরে সভা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ৷ মঙ্গলবার সেখান থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের চণ্ডীরঝাড়ে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী দশরথ তিরকের সমর্থনে সভা করে তৃণমূল। এ দিন অমিতের ভার প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক৷ তারপরই গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য কী করেছেন আর কেন্দ্রের মোদী সরকার কী করেছে তার তুলনা টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি৷ এ বারের ভোটে মোদীর মূল প্রতিপক্ষ যে মমতা, সে কথা জানিয়ে অভিষেক বলেন, “এ বারের নির্বাচনে লড়াইটা মোদীর সঙ্গে মমতার৷ মাঝে আর কেউ নেই৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে দলই প্রতিবাদ করতে গিয়েছে, ইডি, সিবিআই দেখিয়ে ধমকে-চমকে বাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু মমতা অন্য ধাতুর তৈরি৷”
মোদী ও মমতার পার্থক্য বোঝাতে অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম, ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করব৷ সেটা করেছি৷ সারদার প্রতারক সুদীপ্ত সেনকে জেলে পুরেছেন মমতা৷ মোদী ক্ষমতায় আসার আগে ‘অচ্ছে দিনে’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ এখন নিজেকে চৌকিদার বলছেন৷ অথচ, টাকা লুঠের পর বিজয় মাল্যদের দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে৷ এমন চৌকিদার প্রয়োজন নেই৷”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অমিতের সভার দিন তৃণমূল দাবি করেছিল বিজেপির সভায় লোক হয়নি। এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা পাল্টা বলেন, “আমাদের সভার সিকিভাগ মানুষের জমায়েতও করতে পারেনি তৃণমূল৷” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “অসম ও কোচবিহার থেকে লোক এনে বিজেপি যে জমায়েত করেছিল, এ দিন শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের লোক এনে আমরা তার দ্বিগুণ জমায়েত করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy