নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার আগে সাহায্যের আর্জি নিয়ে সপরিবার সার্কিট হাউসে পৌঁছলেন এক ব্যক্তি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না পেয়ে গেট থেকেই ফিরে যেতে হল ওই ব্যক্তিকে।
নারায়ণগড়ের বাসিন্দার অভিযোগ, বিজেপি-র হামলায় তাঁর স্ত্রীর বাঁ-হাত কাটা পড়েছে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তার পর চিকিৎসার করাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন তিনি। রবিবার সার্কিট হাউসে পৌঁছে তাঁর আর্জি, “দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যেন পাশে দাঁড়ান।”
রবিবার রাত ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের সামনে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন মদন দাস। নারায়ণগড়ের কুশবাসন অঞ্চলের জৈতা গ্রামের বাসিন্দা মদন বলেন, “সন্ধ্যায় জানতে পারি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর শহরে সার্কিট হাউসে এসেছেন।” তাঁর সঙ্গে স্ত্রী মাতঙ্গিনী, ভাই সূর্যকান্ত-সহ পাঁচ জন ছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্তি নিয়ে সার্কিট হাউসে পৌঁছনো মদনবাবুকে নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। গেটের সামনে থেকেই তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন মদন।
আরও পড়ুন: ৫ লাখের তালিকায় দেশের অষ্টম রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তবে কমছে সক্রিয় রোগী
মদনের স্ত্রীর দাবি, “গত ২২ জুলাই বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল বিজেপি। আমার দেওর সূর্যকান্তকেও মারধর করেছিল। সে সময় অস্ত্র দিয়ে আমার হাতে কোপ মারে বিজেপি-র লোকজন। ওই ঘটনার পর কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, চিকিৎসা করাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি। যদি দিদি আমাদের জন্য কিছু একটা করেন। এই আশা নিয়ে এসেছি।”
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার নেতাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। সোমবার মেদিনীপুর শহরে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর-সংঘর্ষ, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy