Advertisement
E-Paper

ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা

মেরামতির কাজ শেষ হলেও ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। অধিকাংশ ট্রেনই হাওড়া থেকে দেরিতে ছাড়ছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫০
Share
Save

ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত সময়ে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হল। তড়িঘড়ি মেরামতির কাজ শেষ করা হলেও এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। অধিকাংশ ট্রেনই হাওড়া থেকে দেরিতে ছাড়ছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক ট্রেন। ব্যান্ডেলমুখী ট্রেনগুলি মাঝপথেই থমকে যাওয়ায় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। সব মিলিয়ে অফিসফেরত নিত্যযাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে একটি লোকাল ট্রেন ব্যান্ডেল স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় ওভারহেডের তার ছিঁড়ে পড়ে। ব্যান্ডেলমুখী ট্রেনগুলির কোনওটি রিষড়া, কোনওটি কোন্নগর, কোনওটি শেওড়াফুলিতে দাঁড়িয়ে পড়ে। হাওড়া থেকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট, এমনকি এক ঘণ্টা পরে ট্রেনগুলি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। রেলের তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে ৮টা ১০ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়।” তবে রেল কর্তৃপক্ষ মেরামতির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানালেও লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখও স্বাভাবিক হয়নি বলে জানাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। শ্রেয়সী ঘোষ নামের এক নিত্যযাত্রীর কথায়, “সন্ধ্যা ৬টা ২৫-এর শেওড়াফুলি লোকাল ধরেছিলাম। ট্রেনটা হাওড়া থেকেই ছাড়ল ৭টার সময়। সব স্টেশনে কয়েক মিনিট করে দাঁড়ানোর পর শ্রীরামপুর আর শেওড়াফুলি স্টেশনের মাঝে প্রায় ২০ মিনিট আটকে রইলাম। ৮টার পর শেওড়াফুলি নেমে জানতে পারলাম, ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়েছে।” রানা সেনগুপ্ত নামের আর এক নিত্যযাত্রী বলেন, “চুঁচুড়ায় ঢোকার মুখে আটকে রয়েছি। কী কারণে এই দুর্ভোগ কিছুই জানি না। নানা জন নানা রকম দাবি করছেন। রেলের উচিত স্টেশনগুলি থেকে ঘোষণা করে যাত্রীদের বিষয়টি জানানো।”

হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে বিশেষ শোভাযাত্রী বেরোয় ওই শহরে। শোভাযাত্রা দেখতে প্রতি বছরই বহু মানুষ ট্রেনপথে চন্দননগরে যান। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার এই বিসর্জন-পর্ব চলার দিনেই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় বিপত্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যান্ডেল কিংবা বর্ধমান লোকালে উঠতে না পেরে অনেক যাত্রী কার্যত বাধ্য হয়ে তারকেশ্বর কিংবা আরামবাগ লোকালে উঠতে বাধ্য হন। ভিড়ে ঠাসা ট্রেনেই আটকে থাকতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

Eastern Rail Local Train Bandel Howrah

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}